ত্বক ভালো রাখতে চাই পাঁচ রকম পুষ্টি

0
884
Spread the love
প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।

খাবার হিসেবে যা গ্রহণ করা হয় তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে ত্বকে। তাই সুস্থ ও সুন্দর ত্বক পেতে খাবার নির্বাচনে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি পুষ্টি উপাদান ও খাবারের নাম সম্পর্কে জানানো হল।

ভিটামিন সি

শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘সি’ বহুমুখী ভূমিকা পালন করে। এতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে সূর্যালোকের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে বাঁচায়, ত্বক উজ্জ্বল করে ও রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে ভিটামিন সি সহায়তা করে।

উৎস: পালংশাক, টমেটো, লেবু, আঙ্গুর, কমলা, ক্যাপ্সিকাম, পেঁপে, লেবু।

কার্যকারিতা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল করে, রংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখে।

ভিটামিন

ভিটামিন ‘ই’ খুব ভালো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বককে উন্মুক্ত রেডিকেল থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়াত করে। ভিটামিন সি’য়ের পাশাপাশি এটা ত্বককে রোদ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে, কোলাজেনের ভাঙন রোধেও ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ‘ই’ ত্বকে সুরক্ষার স্তর সৃষ্টি করে ও আর্দ্র রাখে।

উৎস: বীজ ও বাদাম- আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ, তিসির বীজ ইত্যাদি

কার্যকারিতা: সূর্যালোক থেকে রক্ষা, আর্দ্রতা রক্ষা, ত্বক মসৃণ রাখে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

আন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উন্মুক্ত রেডিকেল থেকে বাঁচায়, সূর্যালোক, দূষণ ও বাহ্যিক চাপ থেকে রক্ষা করে। এটা ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায়, অকাল বলিরেখা ও মৃত কোষের সমস্যার সমাধান করে।

শক্তিশালী কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল: ক্যারোটিনয়েড যেমন- বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপিন, আইসোফ্লেভোন্স, রেসভারাট্রোল, আলফা লিপোইক অ্যাসিড, গ্লুটাথিওন ইত্যাদি।

ক্যারোটিনয়েড’য়ের উৎস: গাজর, মিষ্টি আলু, হলুদ ক্যাপ্সিকাম, পালংশাক, কুমড়া, ব্রকলি।

লাইকোপিন’য়ের উৎস: টমেটো, ডালিম।

আইসোফ্লেভোন্সয়ের উৎস: সয়া।

রেসভারাট্রোল’য়ের উৎস: আঙ্গুর।

কার্যকারিতা: ত্বক সুরক্ষিত রাখা, পুনর্গঠন, ত্বকের বর্ণ সজীব রাখে।

খনিজ উপাদান জিংক

ত্বক ভালো রাখতে জিংক খুব কার্যকর। এটা ত্বকের ক্ষত দূর করে, নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। এতে আছে প্রদাহ ও ব্যাক্টেরিয়া নাশক উপাদান। জিংক সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে ব্রণ ও দাগ মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

উৎস: আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ, ব্রকলি।

কার্যকারিতা: প্রদাহ নাশক ও ব্রণ কমায়।

ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

এটা প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে আর্দ্র রাখে ও ত্বকের সুরক্ষার স্তর নিশ্চিত করে। এর প্রদাহনাশক উপাদান ব্রণ, লালচেভাব ও এরিথিমা কমাতে সাহায্য করে।

উৎস: ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ যেমন- স্যামন। এছাড়া তিসির বীজ ও অ্যাভোকাডো।

কার্যকারিতা: প্রদাহ নাশক, বয়সের ছাপ কমায়, কোলাজেন বৃদ্ধি করে।

এসব খাবার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যোগ করে ত্বককে দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুন্দর রাখা সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে