ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয় এটা আমরা সবাই জানি। শুধুমাত্র শরীর নয় এটি ক্ষতি করে আপনার দাঁতেরও। এছাড়া বয়স বাড়লে আরো সমস্যা লেগেই থাকে । যেমন দেখা দেয় দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি থেকে রক্তপাত ও অন্যান্য সমস্যা। বয়স একটু বাড়লেই শুরু হয় দাঁত তোলা বা রুট ক্যানাল। এর ওপর আপনি যদি ধূমপায়ী হন তাহলে তো কথাই নেই। তাই প্রথম থেকেই একটু একটু করে দাঁতের যত্ন নিলে কম সমস্যায় পড়বেন।
– খাবার খাওয়ার পরে পানি দিয়ে কুলি করে নিতে পারেন। ধূমপানের ক্ষেত্রেও এমনটাই করা ভালো। কারণ নিকোটিনের স্তর জমে দাঁতের বারোটা বেজে যেতে পারে।
– আমাদের সামনে একাধিক টুথপেস্টের সম্ভার। তাই টুথপেস্ট কেনার সময় অবশ্যই দেখতে হবে ফ্লুওরাইড আছে কিনা। এই উপাদান দাঁতের হলদে দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
– চেষ্টা করুন দিনে এক থেকে দুইবার অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে। এতে দাঁতের ওপর জমে থাকা জীবাণুর স্তর সরে যায়।
– বছরে দুইবার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ধূমপায়ীদের দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা সব সময়েই বাকিদের তুলনায় বেশি। বছরে অন্তত দুইবার স্কেলিং করানো জরুরি। এটা করানোর আগে অবশ্যই চিকিৎসক এর কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
– সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজা আমাদের অভ্যাস এবং নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত মাজা। পাশাপাশি নিয়মিত ফ্লসও ব্যবহার করতে হবে।
– দাঁতে লেগে থাকা তামাকের দাগগুলোর সঙ্গে মোকাবেলা করতে এবং পিছনের মাড়িতে পৌঁছানোর জন্য, ধূমপানকারীদের শক্ত ব্রিসলসের টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। ফলে ধূমপানের সঙ্গে আসা ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
– ধূমপানের মতো কিছু খাবার আছে, যা দাগ ও দাঁত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। কফি, সোডা এবং অ্যাসিডিক খাবার দাঁতের জন্য সবচেয়ে খারাপ। এগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আপনার দাঁতের জন্য ভালো। কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে পনির, শাক, আপেল, গাজর, সেলারি এবং বাদাম, যা দাঁতের যত্ন নিতে সাহায্য করবে।
সূত্র : ডেজার্টরিজডডেন্টা ডটকম।