-এ কে আজাদ চৌধুরী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের টিকা চূড়ান্ত ধাপে ৯০ ভাগেরও বেশি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে। ভালো অগ্রগতি আছে অক্সফোর্ড আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন, মডার্না ও সিনোভ্যাকেরও। চূড়ান্ত পর্যায়ে আশানুরূপ ফল পেলে জরুরি অনুমোদন চাইবে কোম্পানিগুলো। সব প্রক্রিয়া শেষে নতুন বছরে বিশ্ব পাবে করোনা প্রতিরোধের টিকা। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফাইজার এমআরএনএ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এটা ভাইরাসের একটা অংশ। শরীরে এমআরএনএ প্রয়োগ করলে তা ভিতরে গিয়ে ভাইরাল প্রোটিন বানায়। এতে শরীরে সংকেত পেলে ইমিউন সিস্টেম সজাগ হয়। অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু করে যে শরীরে ভাইরাস আছে। এরপর যখন আসল ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে, তখন ভাইরাসকে ওই অ্যান্টিবডি নিষ্ক্রিয় করে মানুষকে সুস্থ রাখে। মডার্নাও এমআরএনএ দিয়ে কাজ করছে। তাদের ফলও ভালো। অক্সফোর্ড কাজ করছে ভাইরাসের আরেকটি অংশ নিয়ে অন্য একটি ভাইরাসের সঙ্গে লাগিয়ে। এটাতেও প্রাথমিক ফল ভালো এসেছে। ফাইজার এখন জরুরি অনুমোদনের চেষ্টা করছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তারাও ডিসেম্বরে ব্রিটেনে এই ভ্যাকসিনটা প্রয়োগের চেষ্টা করবে। আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটা কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান। ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়ে উৎপাদন শুরু হলে আমরা নতুন বছরে ভ্যাকসিন পাব।’
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণে তাপমাত্রার পার্থক্য রয়েছে। ফাইজারের ভ্যাকসিন মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায়। তাই ভ্যাকসিন আনার চুক্তির পাশাপাশি দেশে পরিবহন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে হবে।