নারীরা অনেক সময় বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে মুখ খুলতে চায় না। কিন্তু ওই সমস্যা পরে ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই নিয়ে খ্যাতনমা লেখক হ্যারিট বিচার স্টো বলেন, ‘একজন নারীর শরীর হলো তার মূলধন। ’ কিন্তু অনেক সময় নানা কারণে আমরা এই শরীরকে অবহেলা করে থাকি। কিন্তু সমস্যার শুরুতে চিকিৎসা নিলে তা মারাত্মক পরিস্থিতি ধারণ করার সুযোগ পাবে না। নারীদের শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা আছে যা সচরাচর এড়িয়ে যাওয়া হয়। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
যৌন মিলনে ব্যথা:
অনেক নারী যৌন মিলনের সময় ব্যথা পেলেও তা মুখ ফুটে বলতে পারেনা। কিন্তু এই ব্যথা হতে পারে এন্ড্রিমেট্রিওসিসের অন্যতম কারণ। এছাড়া পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিসের জন্যও এমন হতে পারে। আবার ভ্যাজাইনার শুষ্কতা অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ লুবিক্রেশন না থাকার কারণে এমন হতে পারে।
অনিয়মিত মাসিক:
প্রতি ২১ থেকে ৩৫ দিন পর পর মেয়েদের মাসিক হয়। তবে থাইরয়েড, ফাইব্রয়েডের কারণে দেরিতে মাসিক বা হেভি ফ্লো হতে পারে। এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। কারণ এ থেকে পরবর্তিতে সার্ভিকাল বা জরায়ু ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
স্তনে পরিবর্তন:
স্তনে যদি কোন লাম্পস দেখা দেয় তবে তা অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ লাম্পস হতে পারে ক্যান্সারের কারণ। বেশিরভাগ ব্রেস্ট ক্যান্সার নারীদের অসচেতনা বশত হয়। এজন্য প্রতিদিনিই উচিত ব্রেস্ট পরীক্ষা করে দেখা। এতে করে কোন সমস্যা মনে হলেও শুরুতে চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
অস্বাভাবিক ওজন কমা ও বাড়া:
ওজন কমা প্রায় সবার কাছে আনন্দের কারণ। কিন্তু হুট করে ওজন কমে যাওয়া ক্যান্সার বা থাইরয়েডের কারণ হতে পারে। এছাড়া থাইরয়েড বা পলিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের কারণে ওজন বেড়েও যেতে পারে।
অবসাদ:
অনেকে নারীরা বেশিরভাগ সময় ক্লান্তবোধ করে। এর পেছনের কারণ হতে পারে অ্যানিমিয়া, থাইরয়েড, ভিটামিন ডি’র অভাব। প্রথমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তারপর সমাধান করতে হবে। আবার সারারাত ঘুমিয়েও অনেক সময় ডিপ্রেশনের কারণ শরীর ক্লান্ত মনে হতে পারে।
পেট ফোলাভাব:
অনেকের পিরিয়ডের আগে পেটে ব্যথা থাকে। আবার পেট ফুলে যাওয়াসহ পেটের সমস্যাও দেখা দেয়। এই ব্যথা হতে পারে এন্ডোমেট্রিওসিস বা ওভারিয়ান ক্যান্সারের কারণ।
মিশেল ওবামা বলেছেন, কোন একটি সম্প্রদায় বা দেশ তাদের নারীর স্বাস্থ্যের মত শক্তিশালী। দেশ জাতির উন্নতির জন্য নারীর স্বাস্থ্য ভালো থাকা জরুরি।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া