ফুড সাপ্লিমেন্ট পুষ্টি উপাদানের আধিক্য ঘটিয়ে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়। এক বা একাধিক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণে এগুলো ডোজ আকারে, যেমন—বড়ি, ট্যাবলেট, পাউডার, ক্যাপসুল বা তরলভাবে বাজারজাত করা হয়। ফুড সাপ্লিমেন্ট পুষ্টির ঘাটতি সংশোধন করার উদ্দেশ্যে, নির্দিষ্ট পুষ্টির পর্যাপ্ত গ্রহণ বজায় রাখতে বা নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এগুলো ঔষধি পণ্য নয়, এগুলো মানুষের রোগের প্রতিরোধ বা শারীরবৃত্তীয় ফাংশন সংশোধন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
কেন দেওয়া হয় ফুড সাপ্লিমেন্ট?
একজন রোগী যখন চিকিৎসকের বা পুষ্টিবিদের কাছে আসে, তখন প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়ে তার শরীরের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। এর পরও যখন কোনোভাবেই রোগীর খাদ্য দিয়ে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয় না, তখন ফুড সাপ্লিমেন্টের কথা চিন্তা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ফুড সাপ্লিমেন্টের ডোজ ঠিক করা হয়।
ওভারডোজে রোগীর ক্ষতি
রোগীর শরীরে খাদ্য বা পুষ্টির ঘাটতি না-ও থাকতে পারে। যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে ওই রোগীর ওভারডোজ হতে পারে। ওভারডোজের কারণে কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এককথায় ওই রোগীর কারেন্ট নিড কী, সেটা জেনে এরপর তাকে ফুড সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে।
আয়রনের অতিরিক্ত ডোজে বমি, ডায়রিয়া ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়ামের ওভারডোজ কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, রক্তের পিএইচ বাড়াতে পারে এবং বমি বমি ভাব ও চরম ক্ষেত্রে অনিয়মিত হৃত্স্পন্দনের কারণ হতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’-এর ওভারডোজ রক্তে ক্যালসিয়ামের উচ্চ মাত্রা তৈরি করতে পারে। ভিটামিন ‘এ’ অতিরিক্ত মাত্রা গ্রহণে বমি বমি ভাব এবং বমি, মাথা ঘোরা, দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। শরীরে বিভিন্ন মাল্টিভিটামিনের ওভারডোজের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে :
* ঘন মূত্রত্যাগ
* প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
* শুষ্ক ও ফাটল ঠোঁট (দীর্ঘস্থায়ী ওভারডোজ থেকে)
* চোখ জ্বালা করা
* আলোর প্রতি চোখের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া
* অনিয়মিত হৃত্স্পন্দন
* হাড়ের ব্যথা
* পেশির দুর্বলতা
* মেজাজের পরিবর্তন
* ক্লান্তি
* মাথা ব্যথা
* বিরক্তি
* কোষ্ঠকাঠিন্য
পরামর্শ দিয়েছেন
পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ
গুলশান ডায়াবেটিক কেয়ার