শীতকালে শুকনো আবহাওয়ায় ধুলাবালি উড়তে শুরু করে, দ্রুত বাতাসের মান নেমে যায়। সঙ্গে আগুন পোহানো ও অন্যান্য কারণে বাড়ে দূষণকারী গ্যাস নিঃসরণ। নিজেকে বায়ুদূষণ থেকে সুরক্ষিত রাখার কিছু উপায় জেনে নিন।
খেয়ালে রাখুন:
বাতাসের মান খেয়ালে রাখুন। সাধারণত আবহাওয়ার তথ্যের সঙ্গে বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) দেওয়া থাকে। বায়ুদূষণকারী গ্যাসের পাশাপাশি বাতাসে ভাসমান ধুলাবালি এবং ফুলের রেণু তথা পার্টিকুলেটের পরিমাণ নির্ধারণ করে বাতাসের মান। বাতাসের মান অতিরিক্ত খারাপ থাকলে ভ্রমণ যথাসম্ভব পরিহার করুন।
যা কিছু করণীয়:
অফিস ও বাসার বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে মানসম্মত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ও জীবাণু শোধনে এইচইপিএ ফিল্টারযুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার খুবই কাজের। জানালা বন্ধ রাখুন। বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরুন, প্রয়োজনে সার্জিক্যাল বা এন৯৫ মাস্ক পরা যেতে পারে। কাপড়ের মাস্ক এ ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। ধোঁয়া ও অতিরিক্ত ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না। গাড়ির কেবিন এয়ার ফিল্টার সব সময় পরিষ্কার রাখুন। প্রয়োজন ছাড়া জানালা খোলা রাখবেন না।
পূর্বপ্রস্তুতি:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চাঙ্গা রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার বেশি করে খান। পরিমিত বিশুদ্ধ পানি পান করুন। মনে রাখতে হবে, যাদের ধুলাবালির অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্ট আছে তাদের যেকোনো সময় বাড়তি ওষুধ, ইনহেলার বা নেবুলাইজার লাগতে পারে। পূর্বপ্রস্তুতি রাখুন, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট অবলম্বনে)