প্রত্যেকের শরীরেই রয়েছে ইউরিক এসিড। বাড়তি ইউরিক এসিড কিডনির মাধ্যমে শরীরের বাইরে চলে যায়। ফলে সমস্যা হয় না। কিন্তু অনেকের শরীর থেকে ইউরিক এসিডে বের হয় না। তখন রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে দেখা দেয় নানা সমস্যা।
আমেরিকান কলেজ অব রিউম্যাটোলজির এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ইউরিক এসিডে গাঁটের ব্যথায় আক্রান্ত। ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে ইউরিক এসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি।
কেন বাড়ে
আমাদের শরীরে এক-তৃতীয়াংশ ইউরিক এসিড উৎপন্ন হয় আমিষজাতীয় খাবার থেকে আর বাকি দুই-তৃতীয়াংশই উৎপন্ন হয় কোষের নানা বিপাক ক্রিয়ায়। কোনো কারণে কিডনি ইউরিক এসিড নিষ্কাশন না করতে পারলে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড তৈরি হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, কিডনির অসুখ থাকলে ইউরিক এসিড বেড়ে যেতে পারে।
ইউরিক এসিড বাড়লে কি হয়
বাড়তি ইউরিক এসিড জমা হয় অস্থিসন্ধিতে। এতে সেখানে ব্যথা হয়। ফুলে যায় সেসব জায়গা। এই সমস্যার নাম গাউট আর্থ্রাইটিস। রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেলে মূত্রনালিতে ইউরিক এসিড জমে পাথর তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
করণীয়
- ডালে থাকে হাই প্রোটিন। তাই ইউরিক এসিড থাকলে এজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
- পালংশাক শরীরে ইউরিক এসিড বাড়িয়ে থাকে। শাক হলেও এটিকেও এড়িয়ে চলতে হবে।
- গরু, খাসির মাংস বা অন্যান্য রেড মিটে থাকে হাই প্রোটিন, যা আপনার শরীরে ইউরিক এসিড বাড়াতে পারে। ফলে রেড মিট খাওয়া অবশ্যই ছাড়তে হবে।
- কিছু কিছু সামুদ্রিক মাছ বিশেষ করে যেসব মাছের মাংস মোটা আঁশযুক্ত যেসব মাছ পরিহার করুন। বিয়ার বা অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন।
- খেতে পারেন ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার।
- ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দিনে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
- সপ্তাহে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করুন।