বিদেশগামী যাত্রীদের অনেকে দালালদের খপ্পরে পড়ে ভুয়া করোনা সনদ সংগ্রহ করছেন। এতে করে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। বিদেশগামীদের প্রতারণা থেকে বাঁচতে করোনা টেস্ট করার ক্ষেত্রে আটটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থের লোভে রাজধানীর চার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিদেশগামীদের করোনার ভুয়া সনদে বিতরণের সত্যতাও পাওয়া গেছে ইতোমধ্যে।
এসব প্রতিষ্ঠানের নমুনা সংগ্রহ ও করোনার সনদ দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে—এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং দেশের ভাবমূর্তি ভয়ঙ্কররূপে ক্ষুণ্ন করেছে।
এমতাবস্থায় করোনা আরটি-পিসিআর পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়া দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবসমূহকে আটটি নির্দেশনা মানতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এসব নির্দেশনার অমান্য করলে বা এর ব্যত্যয় ঘটলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নির্দেশনাগুলো হলো—
১. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহের জন্য ল্যাবসমূহের নিজস্ব ভবনের বাইরে স্থাপিত সব ধরনের নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
২. বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা কোনো অবস্থাতেই বাসাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করা যাবে না।
৩. বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহের সময় মূল পাসপোর্ট যাচাই করে পাসপোর্ট নাম্বার উল্লেখপূর্বক নমুনা সংগ্রহ ফর্ম পূরণ করতে হবে। কোনোক্রমেই পাসপোর্টের ফটোকপি গ্রহণযোগ্য হবে না।
৪. বিমানবন্দরে বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা সনদ, পাসপোর্ট নাম্বার দ্বারা যাচাই করা হবে। শুধু টেলিফোন/মোবাইল নাম্বার প্রমাণক হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।
৫. সাত দিনের মধ্যে কোনো পজিটিভ রিপোর্ট থাকলে ওই যাত্রীকে দেশত্যাগের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
৬. কোনো বিদেশগামী যাত্রী কোভিড-১৯ পজিটিভি হলে, সে কমপক্ষে সাত দিন পর শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ল্যাবে পুনরায় পরীক্ষা করাবেন এবং পরবর্তী সময় যদি নেগেটিভ সনদপ্রাপ্ত হন, সে ক্ষেত্রে দেশত্যাগ করতে পারবেন।
৭. কোনো আরটি-পিসিআর ল্যাবের ব্যাপারে কোনো ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে ল্যাবটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
৮. কোনো বিদেশগামী যাত্রীর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উভয় স্থানে প্রথমে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে যাচাই করে দেখতে হবে যে, সে গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোথাও আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করেছে কিনা। করে থাকলে এবং পজিটিভ হলে তাকে সাত দিন পর্যন্ত পুনরায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।