দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকাদান কেন্দ্রে নিবন্ধনের ব্যবস্থা শিগগিরই পুনরায় চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের আগ্রহ বাড়াতে প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
“টিকার জন্য এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ লোক নিবন্ধন করেছে। ৩৫ লাখ টিকা দেওয়ার পর আমরা পরিসংখ্যান যাচাই করব। যদি দেখা যায় গ্রামের মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা কম তাহলে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
“যাদের বয়স বেশি বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ আছে আছেন, ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে গেলে তাদেরকে নিবন্ধন করা হবে। এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আমরা চিন্তা করছি।”-বলেন আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। শনিবার এই সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
“এটা সম্ভব হয়েছে টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভালো অভিজ্ঞতার কারণে।”
গত ২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের টিকার জন্য কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারলে টিকাদান কেন্দ্রেও সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।
৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে শুরু হয় টিকাদান। বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়।
তবে অনলাইনে নিবন্ধন না করেই অনেকে টিকাদান কেন্দ্রে চলে আসেন। বিভিন্ন কেন্দ্র ভিড় বেড়ে যায়, তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতেই আপাতত ওই সুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।