বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বয়সের ছাপ চেহারাতেও পড়তে থাকে। বিশেষ করে এটি নারীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি বার্ধক্যও ধীর করা যেতে পারে।
এমনিতেই বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। আর নারীদের ক্ষেত্রে বয়স ৫০ পেরোলেই বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যাস্টিওপোরোসিস, উচ্চ রক্তচাপ, মেনোপোজ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে ব্যালেন্স ওয়ান সাপ্লিমেন্টের একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান ত্রিস্তা বেস্ট বলছেন, নারীদের শরীরের সমস্যার অবস্থা ও লক্ষণগুলো পরিমিতভাবে এবং কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে খাবারের মাধ্যমে।
তাই চলুন আজ জেনে নেই যে ৫ খাবার খেলে নারীদের বার্ধক্য ধীর হবে ৫০ পেরোলেও
১. দুগ্ধজাত খাবার
বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের হাড় আরও দুর্বল হতে থাকে। আর এর জন্য উপকারী খাবার হিসেবে দুগ্ধজাত খাবারকে ধরা হয়। আর এগুলো বার্ধক্য ধীর করতেও অনেক কার্যকরী।
দ্য স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লেবুকের লেখক এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ অ্যামি গুডসন বলেছেন, দুগ্ধজাত খাবারগুলো উচ্চ-মানের প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, যা আমাদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেশী ভর বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য অপরিহার্য।
২. সবুজ শাকসবজি
শরীরের পুষ্টির পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচনা করা হয় সবুজ শাক-সবজিকে। আর এ ধরনের খাবারগুলো শরীরে পুষ্টি প্রদানের পাশাপাশি বার্ধক্য ধীর করতেও অনেক উপকারি। এ ছাড়া এসব খাবারে ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং সি থাকায় তা প্রদাহ এবং হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৩. চর্বিহীন প্রোটিন
দ্য নুরিশড ব্রেইনের লেখক এবং বিশেষজ্ঞ মুসাত্তো বলছেন, বিশেষভাবে নারীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশিকে শক্তিশালী করতে ভালো মানের প্রোটিন খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব খাবার বার্ধক্য ধীর করতেও উপকারী।
৪. বেরি জাতীয় ফল
ইজেড কেয়ার ক্লিনিকের আরডি শ্যানন হেনরি বলেছেন, বেরি জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং প্রদাহরোধী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের এক-বিরাম পুষ্টি প্রদান করে। আর ফাইবার আমাদের শরীরকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে, ওজন বজায় রাখে এবং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৫. পানি
পানি আমাদের সবার জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হেনরি বলেন, আমাদের বয়স যতই বাড়তে থাকে, আমাদের তৃষ্ণা নিবারণের সম্ভাবনা ততই কম হতে থাকে। এ কারণে আমাদেরকে পানি পান করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আর অতিরিক্ত পানি পান করলে তা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অন্ত্রের কার্যকারিতার প্রভাব ফেলে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া পানি পান করলে তা বার্ধক্য রোধ করতেও সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: স্টাইলক্রেজ ডটকম