মৃত্যুর ভয়াবহ মিছিল

0
889
Spread the love

৮৩ জনের সর্বোচ্চ রেকর্ড, শনাক্ত ৭২০১, তবুও সচেতনতার অভাব

করোনাভাইরাসের থাবায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা এটি। গত এক সপ্তাহে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০৪ জন, এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৯ হাজার ৮২২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২০১ জন। তাদের নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫২৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৬ হাজার, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৬৮টি। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩৩টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৩৬টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ লাখ ৭৮ হাজার ১৯৭টি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। মারা যাওয়া ৮৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৪ জন এবং নারী ২৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ৭ হাজার ৩৩৩ জন এবং নারী মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮৯ জন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব আছেন ৫২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চারজন। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগের চারজন, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। ৮৩ জনের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৭৪ জন, বাসায় মারা গেছেন পাঁচজন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে চারজনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৪ হাজার ৫২৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২ হাজার ৭৬৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১ হাজার ৩৩৫ জন, রংপুর বিভাগের ৪১ জন, খুলনা বিভাগের ৭৬ জন, বরিশাল বিভাগের ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩০ জন, সিলেট বিভাগের ১৩৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৭৬ জন, ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৬ লাখ ২৭ হাজার ৬৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৭ হাজার ৯৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮২১ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৩১৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫২ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৮৮৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৬৪ জন। এ অবস্থার মধ্যেও সচেতন হচ্ছে না মানুষ। কাঁচাবাজার, সুপারশপ, শপিং মলে লেগেছে কেনাকাটার হিড়িক। পয়লা বৈশাখ, ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করছেন অনেকে। লকডাউন ঘোষণার পর ভিড় বেড়েছে বাজারে। অনেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশি করে কিনছেন। এই কেনাকাটায় উধাও স্বাস্থ্যবিধি। খুব অল্প মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে। অনেকে থুতনিতে মাস্ক রেখে ঘুরছেন। এই ভিড়ে সংক্রমিত হয়ে ফিরছেন অনেকে। প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির সংখ্যা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে