উচ্চরক্তাপের সমস্যায় এখন সকলেই ভুগছেন। বরং যত দিন গড়াচ্ছে ততই যেন জটিল হচ্ছে এই সমস্যা। আজকাল সকলেরই মানসিক চাপ অত্যন্ত বেশি। বাড়ছে কর্মক্ষেত্রের চাপও। সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন। আর এই সবকিছুর মিলিত প্রভাব পড়ছে রক্তচাপের ওঠা-নামায়।
কিন্তু এই বর্ধিত রক্তচাপ নিয়ে আমরা ততটাও ভয় পাই না বা সচেতন নই ঠিক যতটা ক্যান্সার কিংবা হার্ট অ্যার্টাকের মত শব্দ শুনলে আতঙ্কে ভুগি। অজান্তেই যদি শরীরে বাড়তে থাকে রক্তচাপ তাহলে কিন্তু হার্টের সমস্যা আসতে বাধ্য। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ হল নিঃশব্দ ঘাতক। হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যে কারণে আগে থেকেই সাবধানে থাকতে হবে।
কোনও একটা জটিল শারীরিক সমস্যা বা শরীরের ক্ষতি হলে তখনই কিন্তু মানুষ সচেতন হয়। কারণ রক্তচাপ বাড়লেই চাপ পড়ে আমাদের হৃদপিন্ডের ধমনীতে। যার ফলে হার্ট অ্যাটার্ক, হার্ট ফেলিওর, স্ট্রোক এবং আরও অনেক কিছু জটিল হার্টের সমস্যা কিন্তু আসে এই উচ্চরক্তচাপ থেকেই। যে কারণেই আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বা যাদের পারিবারিক ইতিহাসে রয়েছে উচ্চরক্তচাপের সমস্যার তাদের কিন্তু প্রথম থেকে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতেই হবে।
সোডিয়াম এবং রক্তচাপের মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই খাবারে যেমন বেশি লবণ খাওয়া চলবে না তেমনই কিন্তু কাঁচা লবণ খাওয়ায় একদমই বারণ। এছাড়াও যে সব খাবারে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম আছে তেমন কিছু ফাস্টফুডের মধ্যেও থাকে হিডেন সোডিয়াম। যা আমাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও যেসব খাবারে উচ্চমাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট থাকে সে সব খাবারও কিন্তু এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব খাবার থেকে আসে উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা। আর তাই উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে পালংশাক, ব্রকোলি, কমলালেবু, অ্যাভোকাডো, কলা, বিট, টমেটো, ডাবের জল এসব কিন্তু অবশ্যই রাখবেন প্রতিদিনের ডায়েটে।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা থেকে দূরে থাকতে হবে। অনিন্ত্রিত জীবনযাত্রা কিন্তু চাপ ফেলে মনের উপরেও। আর মানসিক চাপ পাড়লে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। শরীরের সব হরমোনও ঠিকমত কাজ করে না। ফলে রক্তচাপ বাড়তে বাধ্য। সেই সঙ্গে চাপ পাড়ে মস্তিষ্ক, হার্টে। এছাড়াও অতিরিক্ত চাপ রক্তনালীর দেওয়ালেও চাপ ফেলে। আর তাই হৃদরোগের জটিলতা এত বেশি প্রকট হয়।
শরীর সুস্থ রাখতে ভীষণ রকম প্রয়োজন হল ঘুমের। আর তাই নিয়ম করে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম কিন্তু খুবই জরুরি। ঘুম কম হলেই শরীরে তার প্রভাব পড়ে। ক্লিনিক্যাল হাইপারটেনশনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের সকলেরই কিন্তু ঘুম কম হয় এমনটাই দেখা গেছে সমীক্ষায়। অন্তত ৪৮ শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছেন।