মোবাইল ফোনটা হাতে না থাকলে অনেকেই এখন চলতেই পারেন না। এমনকী বাথরুমে যাওয়ার সময়ও ফোনটা সঙ্গে নিয়ে যান তারা। কিন্তু এই অভ্যাস একদমই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাথরুমে বসে মোবাইল ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক না। বিশেষত কমোডে বসে মোবাইল ঘাঁটা তো একেবারেই উচিত না।
কারণ, যখনই কমোডে ফ্লাশ করা হয়, পানি এবং বর্জ্য পদার্থ থেকে ছিটকে আসা নোংরা পদার্থগুলি বায়ুর মধ্যে মিশে যায়। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। অনেকেই পানির বদলে টিসু পেপার ব্যবহার করেন। সবথেকে বেশি জীবাণু বাসা বাঁধে তার মধ্যেই। যদি বিশেষ দরকারে নিজের মোবাইল ফোনটিকে বাথরুমে নিয়েও যান, তাহলেও সেটা টিসু পেপার হোল্ডারের আশপাশে রাখবেন না। তাতে হ্যান্ডসেটে ই-কোলাই, স্যালমোনেলার মতো জীবাণু জমে।
পাশপাপাশি বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তবু যদি বাথরুমে ফোন নিয়ে যান, তাহলে অ্যালকোহল টিস্যু দিয়ে ফোনটি একবার মুছে নিন। এদিকে, বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখে মনে করবার উপায় নেই যে শুধু যে উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোতেই বাথরুমে ফোন ব্যবহারের অভ্যাস বিদ্যমান। বাংলাদেশেও, বিশেষত শহুরে অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্যও এটি বেশ পরিচিত একটি কাজ। অনেকে একে মাল্টিটাস্কিং বা সময়ের অতি সদ্ব্যবহার বলেও মনে করেন।
কিন্তু সব জায়গায় ফোন সঙ্গে রাখার ব্যাপারটি আসলে অতটা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এ থেকে স্যালমোনেলা, ই-কোলাই, শিগেলা এবং ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার– যা কি না ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে সক্ষম। ব্যাকটেরিয়াই শুধু নয়, গ্যাস্ট্রো এবং স্ট্যাফজাতীয় বিভিন্ন ভাইরাসও ফোনের গায়ে লেগে থাকতে পারে, যা পরবর্তী সংস্পর্শে রোগব্যাধী ছড়ায়। বাবা-মায়েদের এ ক্ষেত্রে একটু বেশি সচেতন থাকা দরকার।