সব বয়সের মানুষেরই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। এ জন্য খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সেই সব জিনিস বেশি করে খাওয়া উচিত, যেগুলি থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও প্রোটিন-সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা কোন ধরনের খাবার বেশি করে খেতে বলছেন।
১. সবুজ শাক-সবজি
পালং শাক, ব্রোকলির মতো সবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সবুজ সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন (ভিটামিন এ, সি, ই), খনিজ এবং ফাইবার থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পুষ্টি সহজেই পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা বেশি সবুজ শাকসবজি খান তাদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
২. ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার
ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং উপকারী বলে মনে করা হয়। এগুলো শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক, যা আপনাকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। প্রায় সব সাইট্রাস ফলই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
কমলা, লেবু, আনারসের মতো ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং গুরুতর রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে।
৩. কিছু মশলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
হলুদ, লবঙ্গ, কালো মরিচ, দারুচিনি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এগুলো আপনার শরীরকে শুদ্ধ করে এবং আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করে। হলুদে পাওয়া কার্কিউমিন প্রদাহ বিরোধী এবং এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। কার্কিউমিনকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি একটি অ্যান্টিভাইরাল হিসাবেও কাজ করে।
একইভাবে অন্যান্য মশলাগুলিতেও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
৪. দুগ্ধজাত দ্রব্য
দই, দুধ, পনিরের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য ভিটামিন এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়, এগুলি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই প্রোবায়োটিকের একটি ভালো উৎস হিসেবে পরিচিত যা অন্ত্রে উপস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়াকে বাড়তে এবং হজমশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার প্রোবায়োটিক, প্রোটিন এবং ভিটামিন সরবরাহ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুগ্ধজাত খাবার রোজ খাওয়া উচিত।
সূত্র : হেলথলাইন