রোজায় ডায়াবেটিক রোগীদের সুগার কেন বাড়ে?

0
466

রমজান মাসে ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হয়।  ১২-১৪ ঘণ্টা অভুক্ত থাকার কারণে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।  সুগার বেড়ে যেতে পারে।

রোজায় সুগার বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পথ্য ও পুষ্টিবিদ জাহিদা সুলতানা।

* খেজুর বেশি খেলে সুগার বাড়ে।

* অনেকেই ওরস্যালাইন/ টেস্টি স্যালাইন খান, ভাবেন এটা তো নোনতা, কিন্তু এতে গ্লুকোজ আছে।

* ইফতারের সময় সামান্য চিনি দিয়ে শরবত খান। ভাববেন না যেন সারাদিন না খেয়ে ছিলাম তাই সামান্য চিনিতে কোনো ক্ষতি হবে না।

* অল্প অল্প করে ২-৩ রকম মিষ্টি ফল খান। তরমুজ, আপেল, পেয়ারা, আনারস, লিচু, আম যা ব্লাড সুগার বৃদ্ধিতে সহায়ক।

* একসঙ্গে ইফতারে বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করলে গ্লুকোজ লেভেল বাড়ে।

* রাতের খাবার বাদ দিয়ে ইফতারে বেশি খেলে এর প্রভাব পরবর্তী দিনের রোজায় পড়ে।

* অনেকেই সেহরির সময় দুধ, ভাত ও কলা মিশিয়ে খান, এটা ব্লাড সুগার বাড়তে সাহায্য করে।

যেসব ভুল এড়িয়ে যেভাবে রোজা সুস্থতার সঙ্গে পালন করা যায়-

* ইসবগুল/তোকমার শরবত কৃত্রিম চিনি দিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন। চিনি ছাড়া টক ফলের জুস বাসায় তৈরি করতে পারেন। মিষ্টি ফলের জুস যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে (খাবার পর ব্লাড সুগার ৮ মিলিমোল/লিটার) তারা খেতে পারেন।

* নবিজির সুন্নত পালনের জন্য একটি খেজুর খান, এর বেশি নয়।

* টক মিষ্টি ফল মিশ্রিত করে খাবেন। যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে তারা অবশ্যই ব্লাড সুগার বৃদ্ধি করে এমন ফল খাওয়া বন্ধ রাখুন।

* ইফতারে অল্প খান, রাতের সমপরিমাণ খাবার খাবেন ইফতারে। রাতের খাবার হবে সকালের নাশতার সমপরিমাণ।

* সেহরির সময় দুপুরের খাবারের সমান খাবার খাবেন এবং শেষ সময়ে খাবেন তার মানে আপনার সেহরি খাওয়া শেষ হবার ৫ মি. পরই যেন ফজরের আজান দেয়।

* সেহরির সময় দুধ ও ভাত/দুধ কলা মিশিয়ে খান। দুধ ও কলা/আম ও ভাত গ্রহণ হতে বিরত থাকুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে