রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ও অধ্যয়নরতদের অন্য মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আলাদা দুটি চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানায়। রাজশাহী মহানগরীর খড়খড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজটি সাত বছর ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়াই তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোনের মুখে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. হাসানুজ্জামান হাসু জানান, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ও অধ্যয়নরতদের অন্যত্র মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তারা শুনেছেন।
তবে দাফতরিকভাবে তিনি এখনো জানেন না।
জানা গেছে, বিএমডিসির অনুমোদনের দাবিতে রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস বর্জন করে ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। আন্দোলনকারীরা জানান, সাত বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানটিতে অব্যাহতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি বিএমডিসির অনুমোদন।
ফলে চারজন শিক্ষার্থী এমবিবিএস পাস করেও ইন্টার্নশিপ করতে পারছেন না।
কলেজটিতে ২০০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও নেই পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল, ল্যাব ও লাইব্রেরি সুবিধা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাধীন জানান, বিএমডিসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা পরিদর্শন করেছে। কিছু শর্ত দিয়েছে। সেগুলো পূরণের চেষ্টা চলছে। হয়তো দ্রুত অনুমতি পেয়ে যাব।’ গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ১০ মার্চ শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের পর যেসব ঘাটতি পূরণের জন্য বলা হয়েছিল, সেগুলোর কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি আবারও পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটতিগুলো পূরণে কর্তৃপক্ষের কোনো সদিচ্ছা নেই। ফলে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অধ্যয়নরতদের রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে অন্যান্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।