শিশুর মলের সঙ্গে রক্ত গেলে কী করবেন?

0
569

শিশুর নানা আন্ত্রিক রোগে মলে রক্ত দেখা যায়। আন্ত্রিক রক্তপাত নালির উপরের অংশে বা নিচের অংশ যে কোনোটা থেকে হতে পারে। কালো পায়খানা, দেখতে তারপিন এর মতো (মেলোনা) দেখা গেলে তা- পাকস্থলিতে অল্প পরিমাণ (৫০-১০০ মিলি) রক্তপাতের ফলে হতে পারে, যা ৩-৫ দিন স্থায়ী হয়।

শিশুর মলের সঙ্গে রক্তপাত দেখা দিলে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী

* যেসব দ্রব্য বা খাবার লাল রঙের যেমন জেলি, টমেটো বা স্টবেরি, তা শিশুর বমিতে বা মলে রক্তরঙ নিয়ে আসতে পারে, তাই মেলেনাতে মলের ‘ওবিটি ল্যাব পরীক্ষা’ করিয়ে সুনিশ্চিত হতে হয়।

* শিশুর নাক থেকে রক্তপাত, নবজাতক বয়সে জরায়ুতে থাকাকালীন সময়ে রক্ত গিলে ফেলা, কফ কাশিতে রক্ত, মুখগহ্বরের রক্তপাত গিলে ফেলার কারণে আন্ত্রিক নালি হতে রক্তপাত বলে ভ্রম হতে পারে। সেজন্য দ্রুততার সঙ্গে নাক, গলা ও মুখগহ্বর পরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে।

যেসব সচরাচর কারণে শিশু বয়সে আন্ত্রিক রক্তপাত হয়

* মলদ্বারের ফিসারস

* ইন্টা-সাসেপশামস-টেলিস্কোপের মতো অন্ত্রনালির এক অংশ নিচের অংশে ঢুকে যাওয়া

* অ্যামিবা পরজীবী সংক্রমণ

* মিকেলস ডাইভারটিকুলাম

* কোলনের পলিপ

* আন্ত্রিক প্রদাহ রোগ (আইবিডি)

* পায়ুমুখের আলসার।

অসচরাচর কারণ হল : পাইলস্ (হিমোরইডস), রক্তনালির স্থানিক টিউমার ইত্যাদি।

ব্যবস্থাপনা : সিবিসি, মল পরীক্ষা, আলসনোগ্রাফি, প্রয়োজনমাফিক প্রকটোসিগময়ডোসকোপি ও অন্যান্য ল্যাব পরীক্ষা- সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে চিকিৎসা।

নবজাতক শিশুর শ্বাসকষ্ট

নবজাতক শিশুর শ্বাসকষ্ট নিুোক্ত তিন লক্ষণের যে কোনোটা বা একাধিক চিহ্ন নিয়ে প্রকাশ পায়।

১. প্রতি মিনিটে শ্বাস এর হার ৬০ বা তার বেশি

২. বুকের নিচের অংশ গভীরভাবে দেবে যাওয়া

৩. গ্রান্টিং- শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্টকর শব্দ।

প্রধান কারণ

* শ্বাসতন্ত্রের অসুখ : আরডিএস, টিটিএন, গর্ভকালীন নিউমোনিয়া, মিকোনিয়াম এসপিরেশন সিনড্রোম, নিউমোনিয়া, এসপিরেশন নিউমোনিয়া, সার্জিক্যাল কারণ

* হার্টফেলিওর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অসুখ : ভূমিষ্ঠকালীন শ্বাসরোধ জটিলতা, মস্তিষ্ক অভ্যন্তরে রক্তপাত

* মেটাবলিক, রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা নেমে গেলে, রক্তে অম্লতা

* অন্যান্য : অত্যধিক শীতলতা, রক্তে বেশি মাত্রার হিমোগ্লোবিন প্রভৃতি।

ব্যবস্থাপনা

* তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনে রেডিয়েন্ট ওয়ার্মার এর ব্যবহার

* শিরায় স্যালাইন, যদি বুকের দুধ চুষে খেতে না পারে

* অক্সিজেন ৮৮-৯৫ শতাংশে বজায় রাখা

* প্রয়োজনে সিপেপ, মেকানিকেল ভেনটিলেশন

* সারফেকটেন্ট থেরাপি (উপসর্গ দেখা দেয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে)

* আরডিএস প্রতিরোধে গর্ভবতী মাকে ২৪ ও ৩৪ সপ্তাহের মধ্যে স্টেরয়েড প্রদান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে