শীতের ৫ সবজি খাওয়ার উপকারিতা

0
103
Spread the love

শীত আসলেই বাজারে সবজির পসরা। শিম, মটরশুঁটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজরসহ আরো কতকি। শীতের সবজির জন্য অনেকেই বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন। বৈচিত্র্যময় এসব সবজির রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।

তাই চিকিৎসকরাও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

বাঁধাকপি

বাঁধাকপিকে ক্যান্সার প্রতিষেধক বলা হয়। বাঁধাকপির রসে আইসোসায়ানেট নামক রাসায়নিক যৌগ রয়েছে, যা শরীরের ইস্ট্রোজেন বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত এবং স্তন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। বাঁধাকপির রস আলসারের চিকিৎসায়ও ব্যবহার হয়।

অন্ত্র ডিটক্সিফাই করে। একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সরবরাহ করে। যা পাকস্থলীর ভেতরের স্তর শক্তিশালী ও আলসার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে।

বাঁধাকপিতে অ্যামাইনো এসিড আছে; যা ত্বকের প্রদাহ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বাঁধাকপির রসে ফলিক এসিড আছে। রক্তাল্পতার চিকিৎসায় ফলিক এসিড গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।

ফুলকপি

ফুলকপি প্রচুর পরিমাণে ফাইবারে ভরপুর। আর এই ফাইবার হজমের সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগের মতো বেশ কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহকারী ফুলকপি প্রদাহ কমাতে পারে। এটি উদ্ভিদ যৌগ সালফোরাফেন সমৃদ্ধ সবজি যা হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি। ফলে ওজন কমাতে পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে ফুলকপি।

শিম

শিমের বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হৃদরোগও নিয়ন্ত্রণ করে। শোনা যায় চুলের জন্যেও শিম খুব উপকারী।

গাজর

শীতের সময় প্রচুর গাজর পাওয়া যায়। গাজর চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া চোখের কোষকলা তৈরিতে সাহায্য করে। রাতকানা, গ্লুুকোমা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে।

নিয়মিত গাজর খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কারণ গাজরে আছে পলি-এসিটিলিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

গাজরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলি-এসিটিলিন হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। গাজরের উচ্চমানসম্পন্ন ক্যারোটিনয়েডস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত গাজর খেলে গাজরের বিটা ও আলফা ক্যারোটিন রক্তনালি সংকোচন, এসিডিটির সমস্যা কমায়।

বয়সের কারণে কোষের ক্ষতি রোধ করতে গাজরের ভূমিকা রয়েছে। ইনফেকশন এড়াতে কাটাছেঁড়া জায়গায় গাজর ব্লেন্ড করে লাগালে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে। সপ্তাহে কমপক্ষে ছয়টি গাজর খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। ওজন কমাতে গাজর খেতে পারেন। দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় গাজরের ভূমিকা আছে।

মটরশুঁটি

শীত মানেই মটরশুঁটি। খিচুড়িতে মটরশুঁটি দিলে খিচুড়ির স্বাদই বদলে যায়। এটির তরকারিও বেশ মজার। আরো নানাভাবে মটরশুঁটি খাওয়া যায়। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোলেস্টেরল কমায়। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে