পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফল হচ্ছে কলা। সহজলভ্যতা, পুষ্টিগুণ ও সুস্বাদু হওয়ার কারণে কলা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্থান পেয়েছে। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই কলা আমাদের দেহের বিভিন্ন কার্যকারিতাকে সমর্থন করে।
তবে শীতে কলা খাওয়া নিয়ে প্রায়ই আমরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কলা পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬ এর একটি ভাল উৎস। এটি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শীতে যখন শরীরের শক্তির চাহিদা বেড়ে যায় তখন কলা শক্তির ভালো উৎস হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
এছাড়াও এতে উপস্থিত ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে, যা সাধারণত শীতকালে ধীর হয়ে যেতে পারে।
কলা খাওয়ার আগে মাথায় রাখুন যে সর্দি-কাশির সমস্যা হতে পারে। যদি কারো ঠাণ্ডাজনিত অ্যালার্জি থাকে তবে তার কলা খাওয়া এড়ানো উচিত। তবে যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় এবং ঠাণ্ডার মধ্যেও ব্যায়াম করেন তাদের জন্য কলা উপকারী হতে পারে। কারণ এটি তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কলা উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তবে ডায়াবেটিক রোগীদের সীমিত পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত। কারণ এতে উচ্চ পরিমাণে চিনি রয়েছে।
শীতে কলা খাওয়া বা না খাওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। এটি যদি সুষম পরিমাণে এবং সঠিক সময়ে খান তবে শীতকালেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
সূত্র : নিউজ১৮