শীতে বায়ুদূষণ, ধূমপান এবং অন্যান্য নানা কারণে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ে। সরাসরি ধূমপান না করলেও পরোক্ষভাবে ধূমপায়ীদের কাছ থেকে এসব সমস্যার ঝুঁকি তৈরি হয়। ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই শীতে নিজেদের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, ফুসফুসসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
শীতে ফুসফুসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু বিশেষ পানীয় সাহায্য করতে পারে। এসব পানীয় ফুসফুসের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়ক ও শীতকালীন স্বাস্থ্য রক্ষায় উপকারী।
লেবু-মধুর পানি
ওজন কমাতে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবু, মধু মিশিয়ে পান করেন। এই পানীয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর। ফুসফুস দূষণমুক্ত রাখতেও এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
হলুদ-আদার চা
কাশি হলে অনেকেই আদা খান। সর্দি-কাশি হলে আদা চিবিয়ে খেলে শ্বাসযন্ত্রের আরাম হয়। আদা চিবিয়ে খেলে ফুসফুসে জমা দূষিত পদার্থ দূর হয়। ফুসফুস ভালো রাখতে সকালে আদা ও কাঁচা হলুদের চা পান করতে পারেন। ফুসফুসে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এই পানীয় বেশ কার্যকর।
গ্রিন টি
গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। শরীরের দূষিত পদার্থ পরিষ্কার করতে এর বিকল্প নেই। ফুসফুসে জমা ক্ষতিকারক পদার্থও সহজে বের করতে পারে এই পানীয়।
এছাড়া ফুসফুস ভালো রাখতে যা করবেন
-ধূমপান ও তামাক গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
-নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম করুন, মেডিটেশন করুন।
-চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
-বায়ু দূষণ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। ঘরের বাতাস ভালো রাখতে এইচইপিএ ফিল্টার ও এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।
-বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন। নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
-ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নিন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ইনহেলার ও ওষুধ ব্যবহার করুন।