গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাস্ট ফুডে আসক্ত ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। শিশু ও তরুণেরাও খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সময় মহামূল্যবান। সময় পেরিয়ে গেলে মূল চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। তখন কেবল সহায়ক চিকিৎসা চলে। এতে পরবর্তী জীবনের জটিলতাগুলো এড়ানো সম্ভব হয় না।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাপনের পরিবর্তন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী পরামর্শ দেন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার। তিনি বলেন, এ জন্য প্রথমেই খাবারে বাড়তি লবণ একেবারেই বাদ দিতে হবে। রান্নায়ও লবণের পরিমিত ব্যবহার করতে হবে। বেশি লবণযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। সয়াসস, কেচআপ ইত্যাদি কম খান। তেল-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো রক্তনালিতে চর্বি জমতে এবং ব্লক তৈরি করতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, শাক, বরবটি এবং টক ফলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড থাকে। প্রচুর পরিমাণে তাজা ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে আছে পটাশিয়াম, যা রক্তনালিকে প্রসারিত করে, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এসব ফলমূলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে বছরে দু-একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শরীরের ওজন এবং রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং হাঁটুন। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। ধূমপান অবশ্যই বর্জন করুন। একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, লেবুজাতীয় ফল, আপেল ও নাশপাতির মতো শক্ত ফল, কলা, ফলমূলজাতীয় শাকসবজি ও শিকড়জাতীয় শাকসবজি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। এ ছাড়া প্রতিদিন ২০০ গ্রাম দুধ ৫ শতাংশ, দিনে ১০০ গ্রাম দই ৯ শতাংশ স্কিমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।