এটি কি আসলেই কোনো সমস্যা কী না?
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিল্পী সাহা।
রক্তের গ্রুপ নির্ভর করে দুটি ফ্যাক্টরের ওপর। একটি হলো ABO ফ্যাক্টর, আরেকটি হচ্ছে জয ফ্যাক্টর। এদের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয়। ABO ফ্যাক্টরের জন্য আমাদের রক্তের গ্রুপ A, B, AB, O এরকম হয়। অন্যদিকে জয ফ্যাক্টরের জন্য নেগেটিভ বা পজিটিভ হয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই রক্তের গ্রুপ এক হলে বাচ্চার ওপর এর কম প্রভাবই পড়বে না। অর্থাৎ, বাচ্চার কোনো ধরনের ক্ষতি কিংবা ঝুঁকির আশঙ্কা নেই।
* ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
মায়ের যদি নেগেটিভ (ধরে নেই A negative বা অন্য যে কোনো নেগেটিভ) রক্তের গ্রুপ হয়, আর বাবার যদি পজিটিভ (A positive অথবা অন্য যে কোনো পজিটিভ) হয়, সেই ক্ষেত্রে বাচ্চা কনসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে জানিয়ে রাখতে হবে বিষয়টি। কারণ, এ ক্ষেত্রে নেগেটিভ পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের কারণে বাচ্চার ওপর একটি খারাপ প্রভাব পড়ে। এই ক্ষেত্রও ভয়ের খুব বেশি কারণ নেই। কারণ, এর ক্ষতিকর প্রভাবে বাধা দেওয়ার জন্য একটি ইনজেকশন যেটি ডেলিভারির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হয়। মিসক্যারিজ কিংবা গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হলেও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ইনজেকশন নিলে ওই প্রেগনেন্সিতে কিংবা পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে বাচ্চার ওপর আর কোনো খারাপ প্রভাব পড়বে না।
অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনো সমস্যাই নেই। তাই গর্ভধারণের পূর্বে কিংবা গর্ভধারণের সময় স্বামী ও স্ত্রী-উভয়েরই রক্তের গ্রুপ জানা জরুরি।