বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মতে, প্রতি বছর ১২ লাখ মানুষ সরাসরি ধূমপান না করে শুধু ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকার কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই বিদ্যমান আইনের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ট্যোবাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’র আলোকে সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ব্ক্তব্যে সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ডা. তাহসীন আলম সায়েম এই দাবি করেন।
এসময় ডা. তাহসীন আলম সায়েম বলেন, জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশক তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আলোকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)-এর সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মণিলাল আইচ লিটু বলেন, বর্তমান আইনে বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তরুণ ও শিশুদের আকৃষ্ট করতে বিক্রয়স্থলের দৃশ্যমান স্থানে তামাকপণ্যের প্যাকেট সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। তরুণদের সুরক্ষায় সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ ৫০টি দেশ বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশেরও বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্যে প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৌমিক দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আওসাফ তাজওয়ার, সন্ধানীর উপদেষ্টা কাজী আয়েশা সিদ্দিকা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিসার্চ অফিসার ডা. জুবাইদা আখতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।