গ্যাসের সমস্যা থেকে বুকে-পেটে এমন ব্যথা হলে, দ্রুত তা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকার ওপর। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—আচমকা গ্যাসের ব্যথা শুরু হলে কী করবেন
গ্যাসের চাপে বুকে ব্যথা শুরু হয়। এর সঙ্গে মাথাতেও তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা হতে পারে পেটেও। এসব সমস্যা দ্রুত কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া টোটকায়।
গ্যাসের সমস্যা হলে ঠিক কতটা কষ্ট পেতে হয়, তা কেবল ভুক্তভোগীই জানেন। এই সমস্যা হলে প্রথমেই গলায় প্রবল চাপ হতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অসুবিধা বাড়তে থাকে।
- হাল্কা গরম পানি খেতে পারলে গ্যাসের চাপ কমবে। তবে অল্প অল্প করে এই পানি খেতে হবে। যাদের প্রায়ই গ্যাসের সমস্যা হয়, তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাল্কা গরম পানি খেতে পারেন। এক কাপ হাল্কা গরম পানি প্রতিদিন খালি পেটে খেলেই উপকার পাবেন।
- কাঁচা জোয়ান চিবিয়ে তারপর হাল্কা গরম পানি খেলেও গ্যাসের সমস্যা দূর হবে কম সময়েই। যখন গ্যাসের চাপে হঠাৎ বুকে-পেটে যন্ত্রণা শুরু হবে, তখন প্রথমে একটু কাঁচা জোয়ান চিবিয়ে খেয়ে নিন। তারপর অল্প অল্প করে হাল্কা গরম পানি খেতে থাকুন। অল্প সময়েই উপকার পাবেন। যে জোয়ান খাবেন তা ভাজা হওয়া যাবে না। আর লবণ না থাকাই ভালো।
- গ্যাসের সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রেই গ্যাস হওয়ার অন্যতম কারণ কম পরিমাণে পানি খাওয়া। তাই প্রতিদিন পরিমিত পানি খাওয়ার ব্যাপারে নজর দিন।
- অতিরিক্ত তেল-চর্বি যুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। আর ঝাল কম খেতে পারলে ভালো।
- খাবার খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়বেন না। এর প্রভাবে অনেক সময়েই গ্যাসের কারণে গলায় চাপ হতে পারে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা তিনেক আগে রাতের খাবার সেরে নিন।
- কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারলেও গ্যাসের সমস্যা কমবে খুব কম সময়েই। আদার রসও খেতে পারেন। গ্যাসের সমস্যা শুরু হলে চটজলদি আরাম পেতে আদা খাওয়া কাজে দিতে পারে।