শরীরে পুষ্টি জোগাতে ফলের জুড়ি নেই। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ ফল খেলে শরীর ভালো থাকে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন অন্তত একটি করে হলেও ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কিছু কিছু ফল আছে যা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ফুড অ্যান্ড ফাংশন’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে খাদ্যতালিকায় ক্র্যানবেরি থাকলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। ৪৫ জন ব্যক্তিকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, যারা এক মাস নিয়মিত ৯ গ্রাম ক্র্যানবেরি গুঁড়া খেয়েছেন, তাদের কার্ডিওভ্যাসকুলার স্বাস্থ্যে উন্নতি হয়েছে। গবেষণা পত্র অনুযায়ী, ৯ গ্রাম ক্র্যানবেরি গুঁড়া ১০০ গ্রাম তাজা ক্র্যানবেরির সমান। ক্র্যানবেরি খেলে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ে, যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে বলে দাবি গবেষণায়।
ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, ক্র্যানবেরি খাওয়ার পর বিপাক হারও বৃদ্ধি পায়, তাই কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি তাজা ফল না পাওয়া যায় তাহলে ক্র্যানবেরি শুকিয়ে তার গুঁড়া খেলেও হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
এছাড়াও আরও কিছু ফল আছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। যেমন-
অ্যাভোকাডো : খেতে খুব একটা ভাল না লাগলেও, অ্যাভোকাডোর উপকারিতা অপরিসীম। এই ফল হৃদরোদের ঝুঁকি কমাতে দারুণ উপকারী। পটাশিয়ামসহ একাধিক খনিজ সম্পন্ন এই ফল হৃৎপিণ্ডকে ভাল রাখে।
কাজুবাদাম, আখরোট : কাজুবাদাম ও আখরোট হৃৎপিণ্ডের সমস্যা মেটাতে খুবই উপকারী। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এই শুকনো ফলগুলি সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।
বেদানা : শরীরে আয়রনের জোগান দিয়ে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে ও রক্ত শোধন করতে বিশেষ সাহায্য করে বেদানা। এর মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল নামের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ধমনীকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এই ফল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। ফলে হৃৎপিণ্ডও সুস্থ থাকে।