রান্না সুস্বাদু করতে হলে তাতে তেলের ছোঁয়া থাকবেই। এর স্বাদ বাড়াতে তেল যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই তেলের গুণেই ভালো থাকে স্বাস্থ্য। সালাদের ড্রেসিং হোক কিংবা স্বাস্থ্যকর চিলা, অল্প হলেও সবকিছুতেই প্রয়োজন তেল।
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীর ভালো রাখতে রান্নায় যে তেলই ব্যবহার করুন না কেন, তার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ যেন কম হয়।
কারণ, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল ও শর্করা বাড়িয়ে তোলার পিছনে ওই দুটি উপাদানের হাত আছে। রান্নার তেলেই লুকিয়ে আছে সুস্থতার চাবিকাঠি। বাজারে পাওয়া সব তেল কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয়। তাহলে রান্নাঘরে কোন কোন তেল এড়িয়ে চলবেন, তা জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
সয়াবিন তেল
সয়াবিন তেলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া এতে রয়েছে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড, যা হার্টের রোগের ভয়াবহতা বাড়িতে তুলতে পারে।
পাম অয়েল
পাম অয়েলের মধ্যে বেশি পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। প্রতিদিনের রান্নায় এই তেল ব্যবহার করলে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) বেড়ে যেতে পারে। তাই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে রান্নায় পাম অয়েল ব্যবহার না করাই ভালো।
নারকেল তেল
আমাদের দেশে নারকেল তেলের রান্না খুব একটা কম হলেও কিছু কিছু জায়গায় এখনো প্রচলন রয়েছে। কিন্তু এই তেল খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ, এতে রয়েছে লওরিক এসিড, যা রক্তে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় বটে, সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।
কর্ন অয়েল
কর্ন বা ভুট্টার তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। রক্তে এই ওমেগা-৬ বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা হতেই পারে। তাই রান্নায় কর্ন অয়েল ব্যবহার না করাই ভালো।
কার্পাস বীজের তেল
কার্পাস বীজের তেল বা কটনসিড অয়েলের মধ্যে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ বেশি, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
সূত্র : আজকাল