২৪ অক্টোবর আজ ‘বিশ্ব পোলিও দিবস’

0
936
polio day
Spread the love

বিশ্ব পোলিও দিবস, ২০২০  

ডা. জোন্স সালকের জন্মদিনকে স্মরণে রেখে বিশ্ব জুড়ে বিশ্ব পোলিও দিবস পালন  করা হয়। প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর এই দিনটি উদযাপন করা হয়।

বিশ্ব পোলিও নির্মূল কর্মসূচির (GPEI) উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে অক্রিয়াশীল ও লাইভ পোলিও টিকা কর্মসূচি শুরু হয়। রোটারি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনাইটেড স্টেটসে্‌র রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ সংস্থা, ইউনিসেফ, বিল এবং মিলিন্ডা গেটস্‌ ফাউন্ডেশন এবং বিভিন্ন দেশের সরকার এই কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

আজকের বিশ্ব পোলিওর অবস্থান        

বর্তমান বিশ্বে তিনটি পোলিও আক্রান্ত দেশ রয়েছে। দেশগুলি হল আফগানিস্তাননাইজেরিয়া ও পাকিস্তান। ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বে পোলিওর হার কমেছে ৯৯.৯ শতাংশ, তৎকালীন ৩৫০০০০টি  নথিভুক্ত ঘটনা থেকে ২০১৯ সালে এর সংখ্যা কমে ৩৩টি হয়েছে।

পোলিও সম্পর্কিত

পোলিও ভাইরাসঘটিত সংক্রমক রোগ, যা মূলতঃ ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে আক্রমণ করে। এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে মলদ্বার বা মুখগহ্বরের মাধ্যমে বা সংক্রমিত জল বা খাদ্যের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়ে। কোনও একটি শিশু যদি পোলিও দ্বারা সংক্রমিত হয় তবে সারা দেশ জুড়ে পোলিও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

উপসর্গ-

পোলিওর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে পড়ে জ্বর, মাথা ব্যাথা, স্বরভঙ্গ, বমি, ক্লান্তি, ব্যথা বা ঘাড়, পিঠ বা পা শক্ত হয়ে যাওয়া, পেশী দুর্বলতা। এই লক্ষণগুলো সংক্রমণের ১০ দিন পর্যন্ত বজায় থাকে। গুরুতর লক্ষণের মধ্যে পড়ে মস্তিষ্ক-ঝিল্লীর প্রদাহ (মস্তিষ্ক এবং সুষুম্না কাণ্ডের সংক্রমণ) এবং পায়ের পক্ষাঘাত।  যারা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন, তাঁদের শ্বাস সংক্রান্ত পেশীগুলির সঠিক কার্যকারিতার অভাবে  ৫%-১০% রোগীর মৃত্যু হয়।

প্রতিরোধ-

যেহেতু পোলিওর কোনও নিরাময় নেই একমাত্র টিকার মাধ্যমে একে প্রতিহত করা সম্ভব। পোলিও টিকা, বহুবার প্রদানের মাধ্যমে সারা জীবনের জন্য আপনার শিশুকে রক্ষা করুন। পোলিও প্রতিরোধ করার জন্য দুই প্রকারের টিকা দেওয়া হয়।

ওপিভি (ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন বা মুখে খাওয়ানো পোলিও টিকা)- জন্মের সময় প্রথম মাত্রা, ৬, ১০, ও ১৪ সপ্তাহে প্রাথমিক মাত্রা ও ১৬-২৪ মাস বয়সে একটি বুস্টার মাত্রা।

ইঞ্জেক্টেবল পোলিও ভ্যাকসিন (আইপিভি)-  ৬ এবং ১৪ সপ্তাহে ডান হাতের উপরিভাগের ত্বকে ফ্র্যাকশনাল ডোজ দেওয়া হয়।

জাতীয় টিকা দিবস

বাংলাদেশ পোলিওর অভিশাপ থেকে মুক্ত হলেও, বাকি তিনটি দেশ (পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া) থেকে পোলিও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। সারা বিশ্বে পোলিও নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই দেশগুলির জনসংখ্যা এবং তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর নজর রাখতে হবে। জাতীয় এবং উপজাতীয় রাউন্ডগুলির মাধ্যমে উচ্চ মানের পোলিও নজরদারি বজায় রাখা হয়।

যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শিশুও পোলিও আক্রান্ত থাকে, ততক্ষণ পুরো দেশের শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়ে যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে