৩০ পেরোলে দাঁতের সুরক্ষায় করণীয়

0
298
Spread the love

দাঁতের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। অনেকের ছোটবেলায় দাঁতের সমস্যা থাকে না। কিন্তু ৩০ বছরের পর থেকে দাঁতে কম বেশি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। দাঁতের অধিকাংশ সমস্যাই স্থায়ী।

একবার সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে দাঁতকে পুনরায় সুরক্ষা করা কঠিন। তাই বয়স ৩০ পেরোলে দাঁতের সমস্যা কোনমতেই অবহেলা না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন দন্ত চিকিৎসকেরা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় এ ব্যাপারে।

১. বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

দুধ, সবুজ শাক-সবজি, টাটকা ফল দেহের হাড়কে ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করে। চিনিযুক্ত খাবার যতো এড়ানো যায় ততোই ভালো।

২. সকালে ও রাতে দুই বেলা দাঁত মাজার অভ্যাস ছোটবড় সবার গড়ে তোলা জরুরি। সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে এবং রাতে খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই দাঁত মাজার চেষ্টা করা উচিত। নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করতে বলেন চিকিৎসকরা।

৩. অনেক সময়ে দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়ে রক্তপাত হয়। এটিকে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো।

৪. দাঁতের ক্যাভিটির দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা না হলে দাঁতের ব্যথা শুরু হয়।

যাকে আমরা ‘দাঁতের পোকা’ বলে থাকি। ক্যাভিটি হল দাঁতের ছিদ্র। দাঁত ঠিক মতো পরিষ্কার না করলে বয়স বাড়ার সাথে সমস্যাটি আরো বড় হয়। দাঁতের গোড়া পর্যন্ত চলে গেলে অসহনীয় ব্যথা হয়। যার ফলে চিকিৎসকেরা দুইবার দাঁত মাজার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৫. যারা ধূমপান করেন তাদের ত্রিশ পেরোনোর আগেই এই অভ্যাস  ছেড়ে দিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। শুষ্ক মুখ ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করে বেশি। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান দাঁতের জন্য উপকারি।

সূত্র: ট্রু কেয়ার ডেন্টিস্ট্রি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে