রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকির কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৬০ বছরের কম বয়সীদের না দেয়ার সুপারিশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এই সিদ্ধান্ত দেশটির ধীর গতির ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন, এর ফলে ৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য ফাইজারকেই ‘পছন্দসই ভ্যাকসিন’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার গুরুতর কিছু ঘটনা ঘটার পর শুধুমাত্র পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের জন্য এই ভ্যাকসিন সীমাবদ্ধ করে দেয় অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু ৫২ বছর বয়সী এক নারী রক্ত জমাট বাঁধায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিনটির ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্বাস্থমন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, এই সিদ্ধান্ত দেশটির ইতোমধ্যে ধীর গতির ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র তিন শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের দুই ডোজ দেয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ধীর গতি নিয়ে জনমনে অসন্তুষ্টি তৈরি হওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরকার ঘোষণা দিয়েছে, একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা এখন থেকে কেন্দ্রীয় ভ্যাকসিন কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেবেন। এই কার্যক্রমের নাম দেয়া হয়েছে ‘ভ্যাকসিন শিল্ড’।
তবে এর ফলে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ভ্যাকসিন দেয়ার দায়িত্ব অধিকাংশই নির্ভর করে প্রাদেশিক সরকারগুলোর ওপরে।
দেশেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
অন্যান্য কোম্পানির ভ্যাকসিন আমদানির ক্ষেত্র ক্রমেই আরও সীমাবদ্ধ হয়েছে এবং আমদানিতে বেশ দেরিও হয়ে গেছে। ফলে এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল প্রাপ্তবয়স্ককে ভ্যাকসিন দেয়ার যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছিল, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।