করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সচিবালয়ে গতকাল রোববার এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা এলে, তা পাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, সেনাবাহিনী, বয়স্ক মানুষ, সাংবাদিক, স্কুলশিক্ষকেরা অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে ফান্ড আছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করব।’ তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যাঁরা অ্যাডভান্স লেভেলে আছেন, শিগগিরই তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমইইউ) সই হবে।
মন্ত্রী জানান, সবাই একবারে ভ্যাকসিন পাবেন না। গ্রুপ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
কয়েক দিনের মধ্যেই ক্যাটাগরি ঠিক করা হবে। দেশে ভ্যাকসিন এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা পাবেন ফ্রন্টলাইনাররা। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল মেনে যারা ফ্রন্ট লাইনার, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তবে ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে দেওয়া হবে কি না, তা নির্ধারণ করা হয়নি। আর জনগণকে সেবা দিতে, করোনায় ঠিক কত টাকা ব্যয় হয়েছে সেটা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স আছেন। পিপিই পর্যাপ্ত আছে। যতগুলো মন্ত্রণালয় আছে, সব কটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ভ্যাকসিন এলেও তো সবাইকে রাতারাতি দেওয়া যাবে না, তাই নিয়ম মানতে হবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবিলায় ‘নো মাস্ক নো সর্ভিস’ নীতি জোরদার করা হবে। জেলা কমিটি সভা করে সচেতনতা বাড়াবে।
মন্ত্রী জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীপ্রতি সাড়ে ১৫ হাজার এবং আইসিইউ সেবা নেওয়া রোগীপ্রতি ৪৭ হাজার টাকা করে খরচ করেছে সরকার।