সুস্থতার চেয়ে মৃত্যু বেড়ে ৪ গুণ

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৮৪৭, মৃত্যু ২৮ জন

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর হার। গতকাল নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা ৭৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া মহামারীর ৪৬তম সপ্তাহের তুলনায় ৪৭তম সপ্তাহে (১৫ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) সুস্থতার চেয়ে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা, রোগী শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যু- সবই বৃদ্ধি পেয়েছে। নমুনা পরীক্ষা ১১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করায় রোগী শনাক্ত বেড়েছে ২৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে সুস্থতা বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ আর মৃত্যুর হার বেড়েছে ৪২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে মারা গেছেন ১৭৭ জন, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের চেয়ে ৫৩ জন বেশি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৬৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ৮৪৭ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ২৮ জন। এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮১ জন আর মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৫০ জন। গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৫২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৮ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, ৬ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ১ জন চল্লিশোর্ধ্ব, ১ জন ত্রিশোর্ধ্ব ও ১ জনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ১৬ জন ঢাকা, ৩ জন চট্টগ্রাম, ৩ জন রাজশাহী, ২ জন খুলনা, ২ জন বরিশাল, ১ জন সিলেট ও ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এক দিনের ব্যবধানে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর ১০টি আইসিইউ ও ৬২টি সাধারণ শয্যায় নতুন করে রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ১১ হাজার ৪৫৯টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ২ হাজার ৮৩৫টিতে ও ৫৫৯টি আইসিইউর মধ্যে ৩০৪টিতে রোগী ভর্তি আছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *