চট্টগ্রামে গত এক বছরে ৩৯ জন নতুন করে প্রাণঘাতী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বর্তমানে মোট ৪১২ জন রোগী হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। এসব রোগী বিনামূল্যে সরকারি প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করছেন। আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নেব দায়িত্ব’। দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চমেক হাসপাতাল ও প্রিভেনশন অব মাদার টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন র্যালি বের করবে।
তবে করোনার কারণে আর কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি।জানা যায়, এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া হয় চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের অধীনে অ্যান্টি রেট্রো ভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টারে। এআরটি কর্নারে রোগীদের বিনামূল্যে রোগ নির্ণয়, ওষুধ, প্রয়োজন অনুসারে অপারেশনও করা হয়। তাছাড়া রোগের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে রেফার করা হয়। এআরটির তথ্য মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২০২০ সালে নতুন করে আক্রান্ত হয় ৩৯ জন। চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১২ জন। এআরটি সেন্টারে মাসে সেবা নেন ২০০ জন। ২০১৯ সালে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭১ জন এবং ২০১৮ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৫ জন।
চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিকুল মাওলা বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে এআরটি কর্নারে এইডস রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হয়। এখানে রোগ নির্ণয়, ওষুধ, অপারেশন এবং রোগ ভেদে অন্য ওয়ার্ডে রেফার করে সেবা দেওয়া হয়। আক্রান্ত রোগীদের সব ধরনের তথ্য রেকর্ড থাকে। তাদের নিয়মিত ফলোআপে রাখা হয়। তবে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিতে রোগসংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।’
চমেক হাসপাতালে প্রিভেনশন অব মাদার টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন (পিএমটিসিটি) প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক আলী হোসেন বলেন, ‘চমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও সিটি করপোরেশন পরিচালিত মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে এ কর্মসূচির আওতায় গর্ভবতী মায়েদের এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা করা হয়।’
জানা যায়, দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয় ৭ হাজার ৩৭৪। ২০১৯ সালে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয় ৯১৯, ২০১৮ সালে ৮৬৯, ২০১৭ সালে ৮৬৫ জন, ২০১৬ সালে ৫৭৮ ও ২০১৫ সালে ৪৬৯ জন।