মানিকগঞ্জ হাসপাতালে যন্ত্রপাতি আছে, ব্যবহার নেই

0
737
Spread the love

জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। হাসপাতালে উন্নতমানের সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থাকলেও কোনো কাজে আসছে না। প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি থাকলেও শুধু লোকবলের অভাবে কোনো কাজেই আসছে না এসব দামি যন্ত্রপাতি।

জানা যায়, ১৫০ শয্যার এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও নার্স ব্যতীত বাড়েনি এর জনবল। ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চলছে ২৫০ বেডের এই হাসপাতাল। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সিটিস্ক্যান, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, এমআর  মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকার পরেও কোনো কাজে আসছে না। বাধ্য হয়ে অধিক টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছে রোগীরা।

হাসপাতালে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ্ব্যক্তি বলেন, কারও কারও ক্লিনিকের ব্যবসা রয়েছে। এক্স-রে, ইসিজি, ইকো সচল থাকার পরেও এসব নষ্ট রয়েছে বলেও দালালরা রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এরপর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। কিন্তু নার্স ছাড়া অন্য কোনো লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ১০০ শয্যার হাসপাতালেরই জনবল সংকট রয়েছে। ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হলেও বেশিরভাগ দামি ওষুধ তাদের বাহির থেকেই কিনতে হচ্ছে। দালালমুক্ত হয়নি হাসপাতাল বরং দালালরা আরও সক্রিয় হয়েছে। কম দামে সেবা দেওয়ার কথা বলে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যায় ক্লিনিকে। এ সুযোগে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই হাসপাতাল সীমানা প্রাচীর ঘেঁষেই একের পর এক ক্লিনিক গড়ে উঠছে। অথচ সরকারি হাসপাতাল থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্লিনিক স্থাপনের আইন রয়েছে। আবার অভিনব কায়দায় তারাই ক্লিনিকের বর্জ্য হাসপাতাল সীমানার ভিতরে ফেলছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ জানান, সিটিস্ক্যান, এমআরআই মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আছে ঠিক। এগুলো চালানোর মতো লোক নেই। লোকের ব্যবস্থা হয়ে গেলে এগুলো ব্যবহার করা যাবে। ১০০ শয্যার হাসপাতালের লোকবল অনেক শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় ২৫০ শয্যা চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে