চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বসাম্প্রতিক যে অনুসন্ধান চালিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, ‘কোনো পশু থেকে ওই ভাইরাস চীনে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দাসূত্র প্রয়োগ করে এ রিপোর্টের যথার্থতা যাচাই করব।’
তিনি বলেন, স্পষ্টতই চীনারা প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা অবলম্বন করেনি। করোনা মহামারী আবার হানা দিলে তা প্রতিরোধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দরকার চীন তা দিচ্ছে না।
মার্কিন মুখপাত্র নেড প্রাইসের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ পিটার ডাসজ্যাক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাগিরির ওপর অত্যধিক নির্ভরতা ত্যাগের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় ডাসজ্যাক বলেন, ‘ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমান্বয়ে নিজেকে বিযুক্ত করে চলেছিল। এর ফলে দেশটি অনেক ব্যাপারে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এখন জো বাইডেনও মনে হচ্ছে চীনের ব্যাপারে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন।’
চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই শহরেই অনুসন্ধান চালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির উহানস্থ দফতরের প্রধান পিটার বেন এমবারেক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মানবদেহে করোনার ছোবলের কারণ ‘চার ধরনের হতে পারে’ ধরে নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। কিন্তু কোনোটাকেই ‘এটাই দায়ী’ বলা সম্ভব হচ্ছে না।