করোনার টিকা নিয়ে আলোড়নের মধ্যেই এইডস সৃষ্টিকারী ভাইরাস এইচআইভি নতুন টিকা আবিষ্কার হয়েছে। মানুষের ওপর পরীক্ষা বা হিউম্যান ট্রায়ালে প্রতিষেধকটির সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ বলে দাবি উদ্ভাবকদের। মানুষের ওপর পরীক্ষার প্রথম দফায় এই টিকা ৪৮ জনের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে বলে স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয়েছে।
এই নতুন টিকা যৌথভাবে তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং এইচআইভি টিকা প্রস্তুতকারী অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ (আইএভিআই) এর বিজ্ঞানীরা। গবেষণার ফল ঘোষণা করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির এইচআইভি রিসার্চ ফর প্রিভেনশন শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে।
স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এও জানিয়েছে, এই নতুন টিকা যাতে আরো তাড়াতাড়ি বেশি করে বানানো যায়, তার জন্য ‘মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ)’ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। আর সেই প্রযুক্তিতে নতুন এইডস টিকা বানাতে যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছেন গবেষকরা।
গত শতাব্দীর আটের দশকে এইচআইভি (‘হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস’) ভাইরাস আবিষ্কারের পরপরই ওই ভাইরাস রোখার কয়েকটি টিকা নিয়ে মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। কখনো পরীক্ষা চালানো হয় দুই ধরনের এইচআইভি টিকার সমন্বয়ের মাধ্যমে। কিন্তু মানুষের ওপর কোনো পরীক্ষার সাফল্যের হার ৩১ শতাংশের বেশি ছিল না। টিকাগুলোর কার্যকারিতার মেয়াদও এক বছরের বেশি হতে পারেনি। ফলে সেই টিকা বাজারে সার্বিকভাবে চালু হওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা কোনো আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থারই ছাড়পত্র পায়নি।