কিডনি শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিডনি সুস্থ রাখতে একজন মানুষের দৈনিক ৮ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। কারণ কিডনির প্রধান কাজ হলো দেহ থেকে বর্জ্য এবং ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের করে ইলেকট্রোলাইটস এবং অন্যান্য তরলের ভারসাম্য রক্ষা করা।
কিডনি পরিষ্কার ও সুরক্ষিত রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। শাকসবজি ও ফল খেলে কিডনি নিজেকেই নিজে পরিষ্কার রাখে। বেশিরভাগ সবুজ সবজিতে ভিটামিন সি, কে, ফাইবার ও ফলিক এসিড থাকে। এগুলো রক্তচাপ কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিডনি সুস্থ রাখে।
কিছু ভেষজ উপাদান ও খাবারের মাধ্যমেও কিডনি পরিষ্কার করা যায়। বিটের জুস, তরমুজ, লেবুর রস, ক্র্যানবেরি জুস, আপেলের জুস্কু, মড়োর বীজ ইত্যাদি কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও এলার্জি থেকে ত্বককে রক্ষা করা ত্বককে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কিডনির সুরক্ষা রাখে হলুদ। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা কারকুমিনে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান কিডনি রোগ ও পাথর জমা হওয়া রোধ করে।
গবেষণায় জানা যায়, প্রতিদিনের রান্নায় অন্যান্য তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে অলিক এসিড, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড আছে যা কিডনি সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
রসুন ইনফ্লেমেটোরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে। তবে রান্না করে খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। ভাল হয় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া, এটি হার্টের পাশাপাশি কিডনিও ভাল রাখে।
লেবুর শরবত ও আদা কিডনিকে ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবু কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে ও ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়। নিয়মিত কাঁচা আদা, আদার গুড়া কিংবা জুস ‘শরীরের ছাঁকনি’ কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে।
এছাড়াও অনিয়মিত জীবনযাপন এবং ভুল খাবারের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং খাবারে কাঁচা বা অতিরিক্ত লবণ কম খেতে হবে। রক্তচাপ ও সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। ধূমপান ছাড়াও বেশি মাত্রায় মদ ও ক্যাফেইন পান থেকে বিরত থাকতে হবে।