করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে ভোগান্তি

0
809
Spread the love

রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ে এসএমএস না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রেজিস্ট্রেশন ফরমে দ্বিতীয় ডোজের তারিখ দেওয়া থাকলেও পরবর্তী এসএমএস না পাওয়ায় টিকা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। আবার এসএমএস পেলেও কেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার নজির আছে। ফলে নির্ধারিত দিনে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে মানুষ হয়রানি হচ্ছেন। টিকা গ্রহণেচ্ছুদের অভিযোগ, প্রথম ডোজ দেওয়ার সময়ই দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার তারিখ রেজিস্ট্রেশন ফরমে লিখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসএমএস জটিলতায় নির্ধারিত দিনে টিকা নিতে গিয়ে শত শত মানুষ বিড়ম্বনার মুখে পড়ছেন। প্রতিদিন এর সংখ্যা বাড়ছেই।

তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের টিকাদান কর্মীরা বলছেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারণেই টিকা গ্রহণেচ্ছুদের এমন বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে টিকাদান কার্যক্রম নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগোচ্ছে না বলেও জানান তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীতে ৩টি কেন্দ্রে টিকাদান চলছে। রাজশাহী পুলিশ লাইন হাসপাতাল, সেনা হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার করে মানুষ টিকা নিচ্ছেন। যদিও রাজশাহীতে প্রতিদিন টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গত ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এরপর থেকে এসএমএস জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ফরমে উল্লেখ করা তারিখ দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে এসএমএস না যাওয়ায় তাকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রাশেদুল ইসলাম নামের একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘টিকা কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে গেলে জানানো হয় আমাকে টিকা দেওয়া যাবে না।

কারণ এসএমএস পাঠানো হয়নি। পরে হাসপাতালের পরিচিত একজন কর্মকর্তার সহায়তায় বিশেষ বুথে গিয়ে টিকা নিয়েছি।’ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেসদৌস বলেন, এসএমএস না পেলে কাউকে টিকা দেওয়া যাবে না বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা আছে। তবে এসএমএস পেলে কাউকে ফেরত পাঠানোর কথা না। কেন পাঠানো হয়েছে সেটি তিনি দেখবেন।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি বলেন, এসএমএস পাওয়া যাচ্ছে না এ কথাটাই সঠিক নয়। প্রতিদিনই সংশ্লিষ্টরা এসএমএস পাচ্ছেন এবং টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকাও নিচ্ছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে