পুষ্টিগুণে ভরপুর কাজুবাদাম

0
655
Spread the love

বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। এরই ধারাবাহিকতায় শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই কাজু বাদাম খেতে খুবই পছন্দ করেন। কাজু বাদাম পুষ্টিকর একটি খাদ্য। কারণ এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। তাদের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হলো ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইটোকেমিক্যালস, ওমেগা এবং ওমেগা ফ্যাটি এসিড।

হৃদরোগ প্রতিরোধে

বাংলাদেশে হৃদরোগ মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ। কাজুবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড যা দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) এর পরিমাণ কমিয়ে দেয় ও ভাল কোলেস্টেরল (এইচডিএল) এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে অনেকাংশে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে

এতে উপস্থিত কপার অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কপার একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। তাই এটি দেহ থেকে ফ্রি র‌্যাডিকেল বের করে দেয় যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। বিশেষ করে যে সকল নারীদের অ্যানিমিয়া আছে তাদের‍ প্রতিদিন কাজু বাদাম খাওয়া উচিত।

ত্বকের সুরক্ষায়

কাজু বাদামের তেলে রয়েছে সেলেনিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস। যা ত্বককে দেয় দারুণ সুরক্ষা। এছাড়া এতে উপস্থিত সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

ওজন কমাতে

ওজন কমাতে কাজু বাদামের বিকল্প নেই। এতে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট নষ্ট করতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে উপস্থিত ফাইবার ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তবে ওজন কমানোর জন্য কাজু বাদাম খেতে হবে কাঁচা ও লবণবিহীন ভাবে।

চুলের যত্নে

কাজু বাদামে রয়েছে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ, কপার। যা মেলাটোনিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে চুল হয় মসৃণ ও স্বাস্থ্যবান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে