বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে স্বল্পমূল্যে করোনা রোগীদের হাইফ্লো অক্সিজেন নিশ্চিত করতে উদ্ভাবন করা হয়েছে ‘অক্সিজেট’ নামের একটি ডিভাইস।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল গবেষক এই ডিভাইস তৈরি করেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই বেড়েছে অক্সিজেন ও আইসিউর চাহিদা। তবে বিদ্যুতের সমস্যা ও বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক সময় রোগীর জন্য হাইফ্লো অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয় না।
তাই স্বল্পমূল্যে অক্সিজেন এবং উচ্চগতির ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করতে দীর্ঘ ১০ মাসের গবেষণার পর ‘অক্সিজেট’ নামে একটি ডিভাইস তৈরি করেছে বুয়েটের বায়োমেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল গবেষক।
এ বিষয়ে গবেষক দলের গবেষণা সহকারী মীমনুর রশিদ বলেন, একজন রোগীকে কতটুকু অক্সিজেন দিলে বা বাতাসের সঙ্গে মিশালে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ হবে; একই সঙ্গে তার অক্সিজেনের মাত্রা যেন ঠিক থাকে-এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা টেস্টিং এবং কম্পিউটার সিমুলেনের মাধ্যমে ডিভাইসটির ডিজাইন করি।
পরে আমাদের ইনহাউজ থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট করেছি। এটি তৈরিতে কারেন্ট প্রযুক্তিতে দুই হাজার টাকা লাগে, তবে বড় পরিসরে করলে এটা কমে আসবে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া বুয়েটের বায়োমেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌসিফ হাসান বলেন, বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে ইলেকট্রিক পাওয়ারের একটা সমস্যা আছে।
যেমন ঢাকা মেডিকেলের সব বেডের পাশে, কিন্তু ইলেকট্রিক আউটলেট নেই। এ জন্য আমরা দেখতে থাকি কীভাবে বিদ্যুৎ ছাড়া স্বল্পমূল্যে হাইফ্লো অক্সিজেন দেওয়া যায়।
সেখান থেকেই ‘অক্সিজেট’ ডিভাইসের কনসেপ্টটা আসে। এর বাইরেও আরও প্রযুক্তি আছে, কিন্তু সেগুলো ব্যয়বহুল। আমরা প্রথম থেকেই একটা বিষয় চেষ্টা করেছিলাম এমন একটা জিনিস তৈরি করব যেটার দাম কম হবে কিন্তু আমাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
পরে বিএমআরসির অনুমোদন নিয়ে ফেজ এক ও দুই-এর পরীক্ষা করেছি এবং আশানুরূপ ফল পেয়েছি।