পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষের সময় কমছে

0
1000
Spread the love

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চলমান শিক্ষাপদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

মহামারিতে উচ্চশিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষাবর্ষের সময় কমানো, বিভিন্ন ধরনের ছুটি বাতিলসহ ছয়টি প্রস্তাব দিয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের ‘রিকভারি গাইডলাইন’ পাঠানো হয়েছে।

তবে এই পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে।

গত ৩১ মে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী ‘রিকভারি গাইডলাইন’ করার সিদ্ধান্ত আসে।

তিন সপ্তাহ পর প্রকাশিত ওই গাইডলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় ‘উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে’ কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যবহারিকসহ সব বিষয়ের ক্লাস, ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রচলিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ছুটি কমানো বা বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় কমানোর স্বার্থে ক্লাস টেস্ট, কুইজ, মিডটার্ম পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, টার্ম পেপারের মতো মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে পারবে।

তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাসের সময় আগের মতোই থাকবে। লেকচারের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হলেও পুরো সিলেবাসের পাঠ শেষ করতে হবে।

চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি, দুই পরীক্ষার মাঝের ছুটি এবং দুটি বর্ষ বা সেমিস্টারের মাঝের ছুটি কমাতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন করে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার জানিয়ে ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করতে বলেছে ইউজিসি।

প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন থাকলেও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই সে পথে যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে