রক্ষণভাগ ব্রাজিলের মতো শক্তিশালী নয় আর্জেন্টিনার-দলটির সমর্থকদের এমন খোঁচা শুনতে হয় হরহামেশাই।
অনেকে বিষয়টি স্বীকারও করেন। তবে এবারের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার রক্ষণ দারুণ উজ্জ্বল। প্রশংসার দাবি রাখে।
চার ম্যাচে মাত্র দুটি গোল হজম করেছে লিওনেল মেসিরা। এরপরও নকআউট পর্বে উতড়ে যেতে হলে রক্ষণভাগকে চীনের মহাপ্রাচীরের ন্যায় কঠিন করে তুলতে হবে।
কেননা, ৯০ মিনিটের খেলা শেষে রেফারি বাঁশিতে ফু দিলে অতিরিক্ত সময়ের সমতায় ফেরা বা জয়ের চেষ্টার সুযোগ নেই। এসব বিষয় অবশ্য বেশ ভালোই জানা আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার নিকোলাস ওতামেন্দির।
তিনি বুঝতে পারছেন, নকআউট পর্বে চ্যালেঞ্জ অনেক। তাই রক্ষণ নিয়ে বাড়তি ভাবনা জমেছে তার মাথায়।
এ নিয়ে নতুন পরিকল্পনাও এঁটেছেন।
তাই বলে, আগামীকালের (রোববার) ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ছকে খেলবে আর্জেন্টিনা এমনটি নয়। রক্ষণকে দৃঢ় রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবলই উপহার দেবেন আলবিসেলেস্তেরা।
রক্ষণ নিয়ে ফরোয়ার্ডদের ভাবতে মানাও করেছেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
গোইয়ানিয়ার অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে কোপা আমেরিকার ১৪বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
সেই ম্যাচকে সামনে রেখে রক্ষণ নিয়ে ওতামেন্দি বললেন, ‘রক্ষণের দৃঢ়তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, এটা দলকে আরও ভালোভাবে আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। ফরোয়ার্ডরা ঠাণ্ডা মাথায় ধারালো আক্রমণ চালাতে পারেন। রক্ষণ ঠিকঠাক থাকলে মাঝমাঠের খেলোয়াড়রা আরও বেশি সুবিধা নিতে পারবে। আরও শান্তভাবে আক্রমণ করতে পারবে আমাদের ফরোয়ার্ডরাও।’
এমন বক্তব্য দিয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষের ম্যাচে কোচ স্কলানি যে রক্ষণে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন ওতামেন্দি।
২০১৫ ও ২০১৬ আসরে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও তা অধরাই ছিল আর্জেন্টিনার। এবার সেই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি চান না ওতামেন্দি।
বেনফিকার অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘শিরোপা জয়ের ব্যাপারে খুবই মনোযোগী আমরা। আমাদের এবারের দলটা খুবই ভালো। কারো মধ্যে আয়েশি ভাব নেই। স্কোয়াডে থাকা ২৮ জনই যে গুরুত্বপূর্ণ, স্কালোনি আমাদের সেটা শিখিয়েছেন। একাদশে ঠাঁই পেতে সবাই যার যার সেরাটা দিতে মরিয়া। এ বিষয়টাই আমাদের জন্য পজিটিভি। যে কেউ যে কোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে ৯০ মিনিটের খেলায়। আমরা শুধু যে যার দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পরিকল্পনা না ভুলে ম্যাচে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা।’