এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগে শুরু হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্যান্য বর্ষের ক্লাস খুলে দেয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই আমাদের যে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিংসহ কয়েক শ’ প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে আনুমানিক দেড়লাখের মতো শিক্ষার্থী। তাদের লেখাপড়া ফিজিক্যালি বন্ধ ছিল দুই বছর, তারা অনলাইনে ক্লাস করছে।
জাহিদ মালেক বলেন, গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধ করতে হয়েছে। লকডাউন দিতে হয়েছে কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য। সেই সাথে আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে। মেডিক্যাল শিক্ষা বিভিন্ন ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়েছে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখতে চেষ্টা করেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে কোভিডের জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন কার্যক্রম নিতে হয়েছে। সবমিলিয়ে ৫০ হাজারের অধিক লোক নিয়োগ দিতে হয়েছে। চার হাজার ডাক্তার, আট হাজার নার্স নিয়োগ দিতে হয়েছে। এ কার্যক্রমগুলো চলমান আছে। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও পুরোদমে চালু আছে।
তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর ধরে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ আছে। অনলাইনে কিছু ক্লাস হলেও মেডিক্যাল শিক্ষায় সশরীরে ক্লাস নেয়া দরকার। তা নাহলে গ্যাপ পড়ে যাবে, আমরা ডাক্তার পাব না। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সশরীরে ক্লাস নেয়া দরকার।’
মেডিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রোগীর কাছে যেতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা প্রথমে নন-কোভিড রোগীদের কাছে যাবে। পর্যায়ক্রমে কোভিড রোগীদের কাছেও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা যাবে। সবই হবে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।’
‘প্র্যাকটিক্যালি রোগীর কাছে অবশ্যই যেতে হবে। নইলে ভালো ডাক্তার হতে পারবে না। ক্লাসে গেলে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।’