টানা বেড়েই চলেছে কোভিড। প্রায় ৭ দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ। মঙ্গলবার দেশটির প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে করোনা ও ওমিক্রনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ শতাংশের ওপর বাড়ল।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৩৭৯ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৭৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২৩।
বর্তমানে ভারতে পজিটিভি রেট ৩.২৪ শতাংশ। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮৯২। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯২ জনের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। একদিনে ভারতে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৭ জন। সংক্রমণের নিরিখে যে হার মোটেই সন্তোষজনক নয় বলে মত স্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞদের। বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য, গত ২৪ ঘণ্টার রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণের কবলে পড়েছেন ৬,০৭৮ জন। কলকাতায় যখন আক্রান্তের সংখ্যা ২, ৮০১, তখন দৈনিক সংক্রমণ কিন্তু অনেকটাই বাড়ল উত্তর ২৪ পরগনায়। জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হলেন ১,০৫৭ জন। আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে হাওড়া ও হুগলিতেও। সামান্য কমল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
ফলে পশ্চিমবঙ্গে ফের লাঘু হল কড়া বিধিনিষেধ। ফের বন্ধ হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল, সেলুন, স্পা, জিম, চিড়িয়াখানা, পর্যটন কেন্দ্র ও বিনোদন পার্কও। শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ ও সিনেমা হল অবশ্য খোলা থাকছে। তবে, ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের প্রবেশের অনুমতি নেই। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালু রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কিন্তু যাত্রী বিক্ষোভে জেরে সময়সীমা বাড়ানো হল রাত ১০ পর্যন্ত।