দর্জির কাজ করেন, করেন চিকিৎসাও!

0
1330
Spread the love

নাম নার্গিস আকতার। তিনি নিজের নামের আগে লিখেছেন ‘ডা.’। কিন্তু তার গলায় চিকিৎসকদের স্টেথোস্কোপ থাকে না। থাকে কাপড় পরিমাপের ফিতা।
পাশাপাশি দুটি দোকান- একটি মেডিকেল হাউস অপরটি টেইলার্স। দুই দোকানের কর্তা একজনই। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চরের তেঁতুলতলা এলাকায় নার্গিস আকতার নামে এক নারীর এমন চিত্র দেখা যায়। সোমবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এর প্রমাণ পেয়েছেন।
ফার্মেসির সাইনবোর্ডে লেখা আছে, ‘সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়’। অন্যদিকে নিজেকে ডাক্তার প্রমাণে ছাপিয়েছেন ভিজিটিং কার্ডও। পাশেই টেইলার্সের দোকান। এখানে পেশা দুটি হলেও মানুষ তিনি একজনই।
যিনি দর্জি, তিনিই চিকিৎসক। পরে কথিত চিকিৎসকের দুই সন্তানের বিষয়টি বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে তাকে স্থানীয় জনপ্রতিধির জিম্মায় দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, গোপন সূত্রে জানতে পারি, এক ডাক্তার দর্জির কাজও করেন। যিনি সকল প্রকার রোগের চিকিৎসক। কৌতূহলবশত ওই ডাক্তারকে দেখতে তার চেম্বারে গেলাম।

কিন্তু একি, ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে গিয়ে দেখি, তিনি গলায় ফিতা ঝুলিয়ে কাপড় কাটছেন! নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলেও তার ন্যুনতম নার্সিং কোর্সেরও অভিজ্ঞতা নেই। এমন অবস্থায়ই তিনি দিব্যি ফার্মেসি ব্যবসা এবং কথিত ডাক্তারি পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেবল তা নয়, তিনিই আবার পাশের টেইলার্সের কারিগর।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের পর এলাকার চেয়ারম্যান ও তিন মেম্বারকে ডাকা হয়। তবে শাস্তি দিতে গিয়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। পাঁচ ও ছয় বছরের দুটা সন্তান আছে। তারা মায়ের সঙ্গেই থাকে। তাই জেল-জরিমানা করা হয়নি। তবে হয় লাইসেন্স নিয়ে ফার্মেসি ব্যবসা করবে, না হয় টেইলার্স পরিচালনা করবে। এখন থেকে যেন ভুয়া ডাক্তারি করতে না পারে। বিষয়টি দেখাশুনা করতে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সূত্রঃ বাংলাদেশপ্রতিদিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে