ফিট থাকতে ডায়েট

0
450

আমরা সবাই ফিট থাকতে চাই। সুস্থ এবং নীরোগ থাকতে ব্যায়াম যতটা জরুরি ঠিক ততটাই জরুরি সঠিক ডায়েট। আমাদের খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস, পছন্দ আপনার চেহারায় প্রতিফলিত হবেই। তাই ছিপছিপে সুস্থ শরীর পেতে রোজকার ডায়েটের দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। মুশকিল হলো ডায়েটের নাম শুনলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। আসলে আমরা ভাবি, ডায়েট মানেই বুঝি তেলমসলাহীন সেদ্ধ সবজি এবং পছন্দের খাবারে ইতি। ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তেমন নয়। ডায়েট মানে সব ধরনের খাবারের মধ্যে একটা সুষম ব্যালান্স। সঠিক ওজন বজায় রাখার জন্য পোর্শন কন্ট্রোল জরুরি। সব ধরনের খাবারই খান কিন্তু পরিমিত আহার জরুরি। ফ্যাট জাতীয় কোনো খাবার খেলেন না অথচ প্রচুর পরিমাণে সবজি এবং ফলমূল খেয়ে গেলেন, এতে কিন্তু ওজন মোটেই কমবে না। বরং আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন। এ প্রসঙ্গে একটা সহজ উদাহরণ দিই। ফল বা সবজির রস না খেয়ে গোটা ফল এবং সবজি খান। এতে খাবারের পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকবে।

আজকালকার দিনে ওভার-ইটিং একটা বড় সমস্যা। অথচ আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারি না যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলছি। এটা রোধ করার একটা সহজ উপায় আছে। অল্প অল্প করে খাবার নিন। একবার খাওয়া হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার নেওয়ার আগে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। আমাদের পেট ভর্তি হয়েছে কিনা তা বুঝতে মস্তিস্কের এই সময়টুকু লাগে। এ ছাড়া দেখা গেছে বড় মিল খাওয়ার আগে এক বাটি সুপ খেলে অনেকটাই পেট ভরে যায়। তাছাড়া সুপ খেতেও সময় একটু বেশি লাগে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

চিনি, ময়দা, সাদা ভাত যতটা সম্ভব কম খান। হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স যেমন ফল, ভেজিটেবল সালাড, হোল হুইটের স্যান্ডউইচ, মাল্টিগ্রেন ব্রেড ইত্যাদি রাখুন। এতে খিদে পেলে জাঙ্ক খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে।

অনেকে চটজলদি ছিপছিপে চেহারার জন্য ফ্যাড ডায়েট বেছে নেন। এই ধরনের ডায়েটে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। তাছাড়া এতে ওজন কমলেও তার ফল সুদূরপ্রসারী হয় না। বরং দেখা যায় পরবর্তীকালে ওজন আরও বেড়ে গেছে। একমাত্র লো সুগার, লো ফ্যাট ডায়েট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সঠিক পরিমাণ, টাটকা শাকসবজি ও ফল এবং নিয়মিত এক্সারসাইজ আপনাকে ওজন কমাতে এবং সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

ফল সকালবেলা খান। একবারে একটাই ফল খান। খেয়াল রাখুন দুটো ফল খাওয়ার মাঝে যেন অন্তত এক ঘণ্টার গ্যাপ থাকে। ফল হেলদি স্ন্যাক হিসেবে যেমন ভালো, তেমনই এগুলো শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
সারাদিনে ৪-৯ গল্গাস পানি খান। যারা বেশি পানি খেতে পারেন না তারা সুপ বা অন্য কোনো হেলথ ড্রিঙ্ক খেতে পারেন। কিন্তু চেষ্টা করুন শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে।

অনেকেই থাকেন যারা আপনাকে জাঙ্ক খেতে অনুরোধ জানাবে বা আপনি শুনবেন ‘এক টুকরো চকলেট কেক খেলে কিছু হবে না’। কিন্তু ডায়েটে থাকাকালীন এই ধরনের প্রলোভন এড়িয়ে চলতে হবে। আসলে ডায়েট প্ল্যান করা যতটা সহজ, মোটিভেশন বজায় রেখে ডায়েট রুটিন ফলো করা কিন্তু ততটা সহজ নয়। তাই ডায়েটে থাকাকালীন আপনার চারপাশে মানুষদের সাহচর্যে একটা সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলুন। যারা সত্যিই আপনার ভালো চান তারা আপনাকে মোটিভেশন ধরে রাখতে উৎসাহ দেবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে