ওজন কমাতে সহায়ক ৫ ফল

0
336

ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। এর মাঝেই যেসব খাবার ওজন কমাতে সহকারী সেগুলো তালিকায় রাখতে হবে।

এ সব ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ফল খেলে ওজনও বাড়বে না বা আবার শরীরও সুস্থ থাকবে। কিন্তু কোন ফলগুলো প্রকৃতপক্ষে ওজন কমানোর জন্য কার্যকর সে বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ওজন কমানোর উপকারী ফল কোনগুলো?

আঙুর:

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আঙুর বেশ উপকারী একটি ফল। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। তবে এতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। আঙুরের গ্লাইসেমিক সূচকও অনেক কম। তাই এর স্বাদ মিষ্টি হলেও রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আঙুরের রস পান করার ফলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ হ্রাস পায় এবং ওজন কমে।

আপেল:

ওজন কমানোর জন্য ফাইবার খুবই উপকারী। আপেলে রয়েছে ভরপুর ফাইবার। আপেলে ক্যালোরিও আছে, তবে পরিমাণে কম।   এছাড়া আপেলে ভিটামিন, মিনারেল, এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। আপেল দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পেতে এবং ওজন কমাতে আপেল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

তরমুজ:

তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও এ, যা ওজন কমাতে খুব কার্যকর। প্রতি দিন তরমুজ খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

পেঁপে:

পেঁপেতে ফ্যাট অনেক কম। প্রায় থাকে না বললেই চলে। পেঁপেতে থাকা এনজাইম হজমে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য আগে খাবার সঠিকভাবে হজম হওয়া দরকার। ওজন কমার সাথে রোজ পেঁপে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

অ্যাভোকাডো:

ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে। অ্যাভোকাডোতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পেটে জমে থাকা মেদ কমাতে খুবই সাহায্য করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে