পিত্তথলিতে পাথর হলে বুঝবেন যেসব লক্ষণে

0
430
Spread the love

নারী-পুরুষ উভয়ই পিত্তথলি বা গলব্লাডারের পাথরের সমস্যায় ভোগেন। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে।

বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, মেনোপজের পর হরমোন ক্ষরণে ঘাটতি, গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস, কম পানি খাওয়া ইত্যাদি কারণে গলব্লাডারে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

পিত্তথলির পাথর কী?

পিত্তথলির পাথর ছোট ছোট বালির দানার মতো হয়ে থাকে। মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটি নির্ভর করে কী পদার্থ দিয়ে পাথর তৈরি হয় তার ওপর। কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথরগুলো পিত্তরসের সঙ্গে মেশানো অবস্থায় থাকে। হালকা বাদামি, ময়লাটে সাদা বা কুচকুচে কালো রঙের হতে পারে।

পেটের ডানদিকে যকৃতের পেছনে ও নিচের দিকে পিত্তথলি থাকে। পিত্তরস তৈরি করাই এর কাজ। খাবার হজমে, বিশেষ করে চর্বিজাতীয় খাবার হজম করতে পিত্তরস দরকার হয়। নানা কারণে পিত্তথলিতে বিভিন্ন পদার্থ জমে গিয়ে পাথরের সৃষ্টি করে। পাথর হওয়া ছাড়াও গলব্লাডারে ব্যথার অন্য কারণগুলি কী?

কোলেসিস্টিস: কোলেসিস্টিস দুই ধরনের হয়। যেমন- অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস ও অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস। অ্যাকিউট কোলেসিস্টিসের ঘটে পিত্তথলিতে পাথর আটকে যাওয়ার ফলে। অন্যদিকে অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস হল পিত্তনালিতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।

কোলেডোকোলিথিয়াস: পিত্তনালিতে পাথরের উপস্থিতি কোলেডোকোলিথিয়াস নামে পরিচিত। এটি পিত্তের প্রবাহকে রোধ করে ফলে চাপ ও ব্যথা বেড়ে যায়।

বিলিয়ারি স্লাজ: পিত্তথলিতে কোলেস্টেরল মনোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম, বিলিরুবিন ও অন্যান্য লবণের সংমিশ্রণই হল বিলিয়ারি স্লাজ। এই পদার্থগুলো জমা হয়ে পিত্তথলিতে ব্যথা হতে পারে।

এবার জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ জানান দেবে যে পিত্তথলিতে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে-

পিত্তথলিতে যে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই পেটের ডানদিকে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে পেটের ডান দিকে থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যথা কোমর ও ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এরকম ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এক্ষেত্রে পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, গা গোলানো ও বমিও হতে পারে।

পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে পেতে পারে। জ্বর জ্বর ভাব থাকতে পারে।

পিত্তথলিতে সমস্যা দেখা দিলে কিংবা পাথর জমার ফলে প্রস্রাবেও সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে গাঢ় রঙের প্রস্রাব হতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে