চলছে পবিত্র রমজান মাস। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা রমজানের ঐতিহ্য। পবিত্র হাদিসেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথা বলা আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দিন উপবাসের পরে এমন জিনিস খাওয়া উচিত যাতে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। এক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর । খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়।
নরম আর মিষ্টি স্বাদের খেজুরের রয়েছে নানা পুষ্টি গুণ। স্থানভেদে একেক এলাকার খেজুর একেক রঙের হয়, কিন্তু সব রঙের খেজুরেরই কোনো না কোনো পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিশেষ করে একটু কালচে রঙের খেজুরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, সালফার, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড, প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর থাকে। এছাড়া প্রাকৃতিক ফাইবারসমৃদ্ধ এই ফলটি মন ও শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ফাইবারসমৃদ্ধ খেজুর খেলে ইফতারের সময়ে খাওয়া জিনিসগুলো ঠিকমতো হজম হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে,শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় খেজুর। এছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। একারণে এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
খেজুর সহজে হজম হয়। তাই এটি খালি পেটে খেলেও কোনও ক্ষতি নেই।
ইউরোপিয়ান খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, কালো খেজুরে কার্বোহাট্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি যেমন-সুক্রোজ, গ্লুকোজ, ফ্রুটোজ থাকে যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় এবং এই শক্তি দীর্ঘক্ষণ থাকে।
খেজুরে থাকা ভিটামিন ও খনিজ রক্তের লোহিতকণিকা তৈরিসহ সব ধরনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলতে সাহায্য করে।
শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য হৃৎপিণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সব ধরনের কিংবা রঙের খেজুরে অল্প পরিমাণে সোডিয়াম এবং বেশি পরিমানে পটাশিয়াম থাকে। এটা হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।
খেজুরে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। তাই যাদের উচ্চ আছে তারা খেজুর খেতে পারেন।
খেজুর ত্বকের সুরক্ষায়ও দারুণ কাজ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হজমশক্তি বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বকও থাকে ঝলমলে। খেজুর চুলের জন্যও বেশ উপকারী। এত পুষ্টিগুণ থাকায় শরীর ভাল রাখতে বিশেষজ্ঞরা তাই দিনে অন্তত দুইটি করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র : স্টাইলক্রেজ