বিএফ–৭ নামে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রবিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম ও করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক প্রমুখ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, চীনে বিএফ–৫’র নতুন ধরন বিএফ–৭ শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি ওমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী। কম সময়ে বেশি মানুষকে এই ধরন আক্রান্ত করতে পারে। যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। তাই দেশের সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই বিএফ–৭ করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
টিকার মেয়াদ নিয়ে দ্বিধার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার সুযোগ নেই। টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষেই টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।