যে ৫ অভ্যাসে বাড়ে স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা!

0
256
migraine
Spread the love

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমরা কি না করি। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছুতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। শুধু তাই নয়, সুস্থ থাকার জন্য সব ব্যস্ততা রেখে দিনের একটি অংশ ব্যায়াম করার জন্য বরাদ্দ রাখি। এর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের নিকট শরণাপন্ন হই।

কিন্তু এটা কখনো মনে করি না শারীরিক সুস্থ রেখে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে ব্রেনকে সুস্থ রাখতে হবে। ব্রেনকে সুস্থ রাখার জন্য কোনো পরিকল্পনা করি না।

সুতরাং আমাদের মনে করার উচিত পুরোপুরি সুস্থ থাকতে হলে ব্রেনকেও সুস্থ রাখতে হবে। ব্রেনকে সুস্থ রাখতে হলে সেটার জন্য কিছু সচেতনা বা অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। বয়সের একটা সময় পর স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে থাকে। ফলে তৈরি হয় নানা সমস্যা।

তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দ্রুতগতির জীবনে অনেক সময়ে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক কাজ করে না, ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে। তবে দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটা অভ্যাস রপ্ত করতে পারলেই মস্তিষ্ক হবে ক্ষুরধার। তাই সবার সে অভ্যাসগুলো জেনে নেওয়া উচিত।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণা বলছে, ব্যায়াম ও কিছু কিছু অ্যারোবিক্স মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং ব্রেনের বিভিন্ন ফাংশন উন্নত করে। মানসিক সমস্যা, যেমন-স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কমাতেও সাহায্য করে।

বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্যসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ।  প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়াই ভালো।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ কমানো এবং নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করাও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন, পর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে, মেজাজ ভালো রাখে, স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেয়, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং শরীরেও শক্তি জোগায়।

প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। মানসিক সুস্থতাসম্পন্ন কাজ করুন, যাতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে ও মনে রাখা সহজ হবে। ধাঁধা সমাধান করা, শব্দছক মেলানো, পাজল বোর্ড সমাধান— এসব কাজ মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করবে।
চিন্তাভাবনা, স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

সামাজিক জীবনযাপন, বাইরের সবার সঙ্গে মেলামেশা, কথাবার্তা বলা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। এটি বিষণ্ণতার সম্ভাবনাও কমায়, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে